প্রতি দিন একটু একটু করে বিপন্ন হয়ে উঠছে পৃথিবী। এ বিপদ থেকে মুক্তির উপায় কী? সেই সন্ধানেই প্রতি বছর বসে ‘গ্লোবাল রোবোটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর আসর।
সারা বিশ্বের তীক্ষ্ণমেধার ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভাবনীয় উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে হাজির হয়। রোবোটিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্কট মেটানোর আলোচনা চলে। সেই আসরেই এবার ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে, পাঁচ কিশোরী। এই প্রথম কোনও ছেলে নেই এই রোবোটিক্স দলে।
পঞ্চকন্যার গর্বে গর্বিত গোটা দেশ।
অক্টোবরের ২৪ থেকে ২৭ তারিখ দুবাই-এ আয়োজিত গ্লোবাল রোবোটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে তারা। এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক পাঁচ জনের দিকে।
- আরুশি শাহ। রোবোট ডিজ়াইন, কনস্ট্রাকশন এবং ইলেকট্রিক্যালসে পারদর্শী এই কিশোরী।
- রাধিকা শেখসারিয়া। সে আবার তার গোটা টিমের কাজের জন্য টাকা তোলা এবং কাজটির প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে।
- আয়ুষি নৈনান। তার প্রাথমিক কাজ হল প্রোগ্রামিং এবং সেই প্রোগ্রামিংকে বাইরের মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
- জামেহার কোচ্ছার। প্রোগ্রামিং এবং স্ট্র্যাটেজি তৈরির কাজে দক্ষ এই কিশোরী।
- লাবণ্য আয়ারিস। রোবোট কনস্ট্রাকশন এবং স্ট্র্যাটেজি তার বিশেষ পারদর্শিতার জায়গা।
পাঁচ কিশোরীই জানাল, তারা এ যুগের সশস্ত্র মেয়ে। এবং তাদের অস্ত্র হল, স্টেম।
অর্থাৎ সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথেম্যাটিক্স। মুম্বইয়ের এই পাঁচ তুখোড় ছাত্রী পাল্লা দেবে ১৯৩টি দেশ থেকে আসা আরও দু’হাজার কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে।
এ বছরের চ্যাম্পিয়নশিপের মূল ফোকাস সমুদ্রের দূষণ। বিশ্ব জুড়ে কী ভাবে সমুদ্রে গিয়ে জমছে বিশাল পরিমাণ দূষণ, আর তার ফলে কী ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন, তার প্রভাব সারা পৃথিবীর ভারসাম্য কী ভাবে নষ্ট করছে, এবং এই বিষয়টিকে কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়েই রোবোটিক্স সমাধান নিয়ে আসার চেষ্টা করবে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া ছেলে-মেয়েরা।
পঞ্চকন্যা যে প্রোজেক্টটি চ্যাম্পিয়নশিপে উপস্থাপনা করবে, সেটি ইতিমধ্যেই একেবারে তৈরি করে ফেলেছে। এবং সেটি নিয়ে একাধিক স্কুলে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখিয়েওছে তারা। তাদের ভাবনার অভিনবত্ব মুগ্ধ করেছে সকলকে। তবে ঠিক কী রয়েছে তাতে, তা এখনই ফাঁস করতে রাজি নয় কিশোরীরা। চ্যাম্পিয়নশিপের আসরেই সকলকে চমকে দেবে তারা, বিশ্বাস রাখছে সকলে।