ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁদের আলোচনায় উঠে আসবে এনআরসি থেকে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ। তিস্তার জল বণ্টন চুক্তি নিয়েও কথা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লি পৌঁছবেন শেখ হাসিনা। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে তাঁর।
বুধবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এই সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে কী কী বিষয়ে চুক্তি হবে, তা স্পষ্ট নয়।
তাঁর দাবি, অন্তত ১০-১২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতি বিনিময়, কারিগরি সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে ১৫টির বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। ১৪টি চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
গত ১০ বছরে দুই দেশের মধ্যে শতাধিক চুক্তি হয়েছে, যার ৬৮টিই হয়েছে গত তিন বছরে। এই সময়ে ভারত তিন দফায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার চুক্তি করেছে, যার ২০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে।কয়েক দশকের স্থল সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে, সমুদ্র সীমা নিয়েও বিরোধ কেটে গেছে দুই দেশের। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখনও অমীমাংসিত।
বর্তমানে এনআরসি নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশিরা। তাদের আশঙ্কা, ওই তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে ভারত সরকার বলছে, এটা তাদের ‘অভ্যন্তরীণ’ সমস্যা এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন এবং আগামী বছর যৌথ উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন নিয়েও আলোচনা হবে। আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও ভারতের সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ।