উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া থানার এক নাবালিকাকে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মেয়েকে সারারাত বাড়িতে না ফিরতে দেখে বাধ্য হয়ে ওই নাবালিকার বাবা মাটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার মনে হয়েছিল, মেয়েকে কেউ অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এরপর শুক্রবার রাতেই মাটিয়া থানা এলাকা থেকেই তিনি তার মেয়েকে উদ্ধার করেন, রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত নাবালিকাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
এবারে মাটিয়ার ওই নির্যাতিতা নাবালিকার প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেল। যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ১১ বছর বয়সি ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমন ধরনের পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে ওই নাবালিকার ওপর, যার জেরে তার গোপনাঙ্গ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী ক্ষুদ্রান্ত ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। অত্যাচারের এমন নমুনা দেখে আরজিকর-এর চিকিৎসকেরা এই ধরনের ঘটনাকে তুলনা করছেন দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সঙ্গে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার গোপনাঙ্গে কোন রকমের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়নি। কিন্তু কোন রকমের ভোতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই, ওই নাবালিকার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলা যেতে পারে। আরজি করে আসার পর থেকেই যমে মানুষে টানাটানি চলছে নাবালিকার জীবন। তার গোপনাঙ্গের অস্ত্রোপচার করা হয় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাত একটা থেকে প্রায় তিনটে পর্যন্ত চলে অস্ত্রোপচার। তবে তার আগে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়। যাতে ছিলেন সার্জারি, মেডিসিন, সাইকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
2022-03-29