লালকেল্লায় বেনজির তাণ্ডবের জের। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে পূর্বপরিকল্পিত সংসদ অভিযান বাতিল করল কৃষক সংগঠনগুলি। বুধবার এই কথা ঘোষণা করেন কৃষক নেতা দর্শন পাল।
সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানী দিল্লিতে একাংশ প্রতিবাদী কৃষকের হিংস্র আচরণের সাক্ষী হয়েছে দেশ। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠনের ‘মহাজোট’। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের হিংসাত্মক আচরণের তীব্র নিন্দা করে আন্দোলন থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে দু’টি কৃষক সংগঠন। যদিও অধিকাংশ দল যাদের হাতে কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের চালিকাশক্তি রয়েছে তারা ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে অভিনেতা দীপ সিধুকে দিয়ে লালকেল্লায় নিশান সাহেবের পতাকা টাঙিয়ে আন্দোলনকে ‘কলুষিত’ করার অভিযোগও জানিয়েছেন কৃষকনেতারা। এহেন পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে কৃষকনেতা দর্শন পাল বলেন, “১ ফেব্রুয়ারি বাজেটের দিন সংসদ অভিযান আমরা বাতিল করেছি। তবে প্রতিবাদ চলবে। জানুয়ারির ৩০ তারিখ দেশজুড়ে জনসভা ও অনশন হবে।”
এদিকে, লালকেল্লা ঘটনায় কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, উস্কানিমুলক ভাষণ দিয়ে হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছেন কৃষকনেতারা। আন্দোলনকারীদের হামলার আহত হয়েছেন ৩৯৪জন পুলিশকর্মী। আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে আজ দিল্লির দু’টি হাসপাতালে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে অত্যন্ত আধুনিক ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, কৃষকনেতা সতনাম সিং পান্নু ও দর্শন পালের মতো নেতার ভিড়কে উসকে দিয়েছিলেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাবরেকর। তাঁর অভিযোগ দিল্লি হিংসায় উস্কানি দিয়েছে কংগ্রেস। চাষীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী। সব মিলিয়ে, লালকেল্লা কাণ্ডে অনেকটাই ব্যাকফুটে আন্দোলনকারীরা।