ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা ফেসবুক। সম্প্রতি একটি পোস্টে ভারতের অঙ্গরাজ্য কাশ্মীরকে একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল তারা। সেই ভুলের জন্য বুধবার ক্ষমা চাইল আন্তর্জাতিক এই সোশ্যাল মিডিয়া।
কাশ্মীরকে ‘স্বাধীন’ উল্লেখ করায় এতে ভারতীয় সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আঙুল উঠেছে ফেসবুকের উপর। ঘটনায় বেশ বিপাকে পড়েছে জুকারবার্গের সংস্থা। তবে ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে তিলমাত্র বিলম্ব করেনি তারা। ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ভুলবশত কাশ্মীরকে তাদের ব্লগপোস্টে স্বাধীন দেশগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের নাম লিখেছিল। কারণ ইরানের কিছু নেটওয়ার্ক থেকে তারা কিছু বিষয়বস্তু নিয়েছিল। সেই নেটওয়ার্কগুলিতে কাশ্মীরকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাই সেই বিষয়গুলি নিতে গিয়ে কাশ্মীরের বিষয়টিও ভুলবশত নিয়ে ফেলেছিল তারা। পরে অবশ্য তারা গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখে ভুল শুধরে নেয়। এর জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
২৬ মার্চ ফেসবুক প্রায় ২ হাজার ৬২টি পেজ, গ্রুপ ও অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে। বেশিরভাগ পেজ, গ্রুপ ও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইরানের যোগ ছিল। অভিযোগ, ফেসবুকের মাধ্যমে হিংসা ছড়াচ্ছিল তারা। এমনকী রাজনৈতিক হিংসা ছড়াচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
ফেসবুকের যে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হচ্ছে, তা প্রমাণ মাস দুই আগেও পাওয়া গিয়েছিল। খাস কলকাতা শহরের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কনক সরকার মেয়েদের নিয়ে সোশ্যাল এই সাইটটিতে অশালীন পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টে তিনি মেয়েদের সিলড বোতলের সঙ্গে তুলনা করে।লেখেন ‘একজন ভার্জিন মেয়ে অনেকটা সিলড বোতল বা সিলড প্যাকেটের মতো। আপনি কি টাকা দিয়ে সিলভাঙা কোল্ড ড্রিংকের বোতল কিনবেন? নিশ্চয়ই খোলা বিস্কুটের প্যাকেট কিনবেন না। একটি মেয়ে সতীত্ব নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। যতদিন তার সতীত্ব নষ্ট না হয়, ততদিনই সে পবিত্র থাকে।’ ফেসবুকে তাঁর এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় আছড়ে পড়ে৷ সকলেই নিন্দায় সরব হন৷ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।