অতিমারী করোনার থাবায় গোটা বিশ্বই বিধ্বস্ত।ইউরোপ (Europe) –আমেরিকার (America) মতো দেশগুলোতে মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিনই দীর্ঘতর হয়ে চলেছে।প্রথম বিশ্বের দেশ হিসেবে লালিত অহঙ্কার আজ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।তৃতীয় বিশ্বের দেশ,ইউরোপ (Europe) -আমেরিকার (America) চোখে অবজ্ঞার দেশ ভারত (India) ! সেই ভারতের কাছেই জীবনরক্ষার প্রার্থনা করছে তারা।এ আমাদের অহঙ্কার নয়।এ আমাদের ন্যায়ের পথে,সত্যের পথে থাকার উপহার।
ভারতের মতো জনবহুল,জনঘনত্বের দেশে করোনার মত অতি ছোঁয়াচে রোগ কী ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে,তার শিক্ষা ইতালি বা ইরানের মতো জনবিরল দেশের অবস্থা দেখেই নিতে হবে।ভারতের সুযোগ্য শাসকগণ তা অনুধাবন করতে পেরেছেন যথাযথ ভাবেই।পেরেছেন বলেই ভারতকে,প্রতিটি ভারতবাসীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রবাদী সরকার সব রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।নানা কৌশল,নানা বিধি নিষেধ প্রয়োগ করে করোনাকে প্রতিরোধের প্রচেষ্টা চলেছে।


মানব সভ্যতার এই মহা সংকটের সময়েও ভারত বিরোধী বামেরা ও তাদের দোসর মুসলিমরা,তাদের চিরাচরিত ভাবধারা বজায় রেখে ভারতকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে চলেছে
পাকিস্তান (Pakistan) নামক প্রতিবেশী দেশটি একদিকে সীমান্তে প্রতিনিয়ত জঙ্গী অনুপ্রবেশ করানোর কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে ! অন্যদিকে করোনা (Corona) প্রতিরোধ করার জন্য ভারতের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে !এটাই মুসলিম জঙ্গীদের আসল চেহারা।
এই সংকটকালেও ভারতীয় বামবাদী তথাকথিত বুদ্ধিজীবী,ইসলামিক পরজীবীরা,ভারতে বসেই লাগাতর ভারতবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।সমস্ত রকম মানবিক গুণাবলী বিসর্জন দিয়ে,বাম-ইসলামরা ভারতে ব্যাপক আকারে করোনা-সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত!অথচ ভারত সরকার সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ভারতবিরোধী বাম-মুসলিমদেরও চিকিৎসা-খাদ্য-পরিধেয়-বাসস্থান জুগিয়ে চলেছে !মহা বিস্ময়ের বিষয় হল এখনও এই তথাকথিত বাম-ইসলাম বুদ্ধিজীবী-পরজীবীরা প্রচার করে চলেছে বিজেপি শাসিত ভারতে মুসলিমদের থাকার মতো পরিবেশ নেই।রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ সেবিত দেশে মুসলিমরা নিরাপদ নয়! বাম-ইসলামের দীর্ঘকালের লালিত স্বপ্ন ভারতকে মুসলিম দেশ বানানো।তাতে বাধা পড়াতেই এই গাত্রদাহ।তাই করোনার মতো প্রাণঘাতী সংক্রমণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত!এবং একাজে তারা অনেকাংশ সফল।ভারতে করোনা সংক্রমণের সিংহভাগই দিল্লির নিজামুদ্দিন যোগে ঘটেছে।

 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতি করোনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে।সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট থেকে উত্তীর্ণ হব।রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকগণ জীবন পণ করে দুর্গতদের সেবা করে চলেছেন।সমান্তরাল ভাবে সেবা করে চলেছে সঙ্ঘের শাখা সংগঠনগুলোও।সেবাভারতী,বনবাসী কল্যাণ আশ্রম,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রভৃতি সঙ্ঘ অনুমোদিত শাখাগুলি দিবারাত্র দুর্গত-পীড়িত দিন-মজুর,পরিযায়ী শ্রমিক,পথবাসী,আদিবাসী ও লক্ষ লক্ষ গ্রামবাসীকে প্রত্যহ খাদ্য-পানীয়-ওষুধপথ্যাদি দিয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে সেবা করে চলেছে।সনাতন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সংগঠনগুলি,যেমন-- ইস্কন,রামকৃষ্ণ মিসন,গুরুদ্বার,জৈন ধর্মাবলম্বীগণ সকলেই নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে নিরলস ভাবে মানবিকতার সেবা করে চলেছেন ভারতব্যাপী।

অথচ কোনো অসনাতনী ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে কোনোরূপ সেবা কাজে দেখা যাচ্ছে না।যদিও তারা যথেষ্ট বিত্তশালীই !

সনাতন ধর্মীয় সংগঠন,সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠান,আধ্যাত্মিক সংগঠনগুলি সমস্ত রকম ধর্মীয়-সামাজিক ছ্যূৎমার্গের ঊর্ধ্বে উঠে মানবিকতার সেবা করে চলেছেন।সেবা প্রাপকদের মধ্যে হাজার হাজার দরিদ্র মুসলমানও রয়েছেন।যা ভারতের আবহমান কালের শিক্ষা-সংস্কার।
দেশের সরকার,ধর্মীয়,সামাজিক,আধ্যাত্মিক সংগঠনগুলো নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে করোনা আটকাতে।যাতে অতিকম সংক্রমণ ছড়ায়,আরও কম প্রাণহানি ঘটে।অথচ কিছু কিছু মুসলিম ধর্মীয় উন্মাদরা সর্বোতভাবে চেষ্টা করে চলেছে ভাইরাসটি কত বেশি সংখ্যক ভারতবাসীর দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়।তাদের জেহাদি শিক্ষা থেকেই তারা শিখেছে অমুসলিম তথা কাফেরদের হত্যা করাই তাদের আল্লার ইচ্ছা।উগ্র জঙ্গীবাদই ইসলাম ধর্ম !তবে সুখের কথা যে,তবলিঘি জামাতের পাকিস্তানি প্রধান ইতিমধ্যেই করোনার করুণায় “আল্লাপদ” প্রাপ্ত হয়েছেন।যিনি বলেছিলেন,”মুসলিমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়েন।করোনা তাদের কিছু করতে পারবেনা!
দিল্লির তবলিঘি জমায়েত থেকে যে-সকল মুসলমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন,ভারত সরকার তাদেরও যথাবিধি বাঁচানোর চেষ্টা করছে।অথচ এই জামাতিরা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর,উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে কর্তব্যরত চিকিৎসক,নার্স,পুলিসদের উপর অমানবিক আচরণ করেছেন!তাঁদের গায়ে থুথু-কফ ছিটিয়েছেন!উলঙ্গ হয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঘুরেছেন!নার্সদের উদ্দেশ্যে অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গী করেছেন!হাসপাতালের করিডরে মল ত্যাগ করেছেন!মূত্র বোতলবন্দি করে রাস্তায় ছুঁড়েছেন !

তারপর…তারপর…তারপরও ভারত সরকার তাদের চিকিৎসা-খাদ্য-পানীয় সব ব্যবস্থাই করে চলেছে !

ভারতীয় গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে,দিল্লির জামাতি-জমায়েতে বহু বিদেশী মুসলিমরাও যোগ দিয়েছিলেন।যারা ভারতে এসেছিলেন পর্যটক বা ভ্রমণকারীর ভিসা নিয়ে।এই ভিসায় আসা কোনো বিদেশী নাগরিক কোনো সমাবেশে যোগ দিতে পারেন না।ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতামত দিতে পারেন না।তাহলে তারা দিল্লির তথাকথিত “মুসলিম ধর্মীয় সম্মেলন“-এ যোগ দিলেন কীভাবে ? নাকি দেশের মধ্যেকার দেশদ্রোহীরাই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ? গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে,এই বিদেশী জামাতি অনেকেই করোনা নিয়েই এদেশে ঢুকেছিলেন।
বাজারি সংবাদ ও প্রচার মাধ্যম,যারা নাকি পেট্রো-ডলার পুষ্ট,তারা এই বিদেশীদের “ধর্ম প্রচারক” হিসেবে উল্লেখ করছে ! কিন্তু এই জামাতিদের কার্যকলাপ দেখে সকলেই বুঝেছেন,করোনা সংক্রমণ ছড়ানো-ই এদের উদ্দেশ্য ছিল!এটা তাদের “জেহাদি-কাফের-খতম“-এরই অঙ্গ !


তা যদি না-হবে,দিল্লিতে জামাতি সমাবেশ যখন ঘটেছে,তার আগেই কেন্দ্র সরকারের “লকডাউন” ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।
এবং সম্মেলন থেকে সদ্য ফেরা সাত জন করোনা আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই মারা পড়ে!এর থেকে প্রমাণিত হয়-না যে,করোনার জীবাণু নিয়েই সন্ত্রাসীরা এদেশে ঢুকেছিল ? যতবেশি ভারতীয়দের শরীরে মারণ জীবাণু ছড়াতে পারবে,ততবেশি “হিন্দু নিধন” হবে ? এই অসামাজিক,দেশদ্রোহীদের জীবাণু ছড়ানো তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নতুন পন্থা নয় কি ?ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছে সন্ত্রাসী মুসলিমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসীহানা,নীরিহ মানুষদের হত্যা করার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
এর থেকে কি এটা বলা যায় না যে,ভারতে করোনাকে অতিমারী থেকেও ভয়ঙ্কর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই এদের মূল লক্ষ্য ছিল ? তা নাহলে চিকিৎসারত ডাক্তার-নার্সদের সাথে ঘৃণিত আচরণ কেন করবে ? সবকিছুরই যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিৎ।বিচারের সাহায্যে তাদের চরম শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।


পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুলসিম ধর্মগুরুদের
একজনকে একটি ধর্ম-জমায়েতে তাদের আল্লার কাছে প্রার্থনা করছে,ভারতে এমন কোনো মারণ ভাইরাস যেন আল্লা দেন,যাতে দশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ কোটি হিন্দু মারা যায় ! তার এই “প্রার্থনা”-র ভিডিওটি সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

আপামর ভারতবাসী বাম-মুসলিমদের ন্যক্কারজনক,নিন্দার অযোগ্য,ভারতকে শ্মশানভূমি বানানোর ঘৃণ্য চক্রান্ত–সবই প্রত্যক্ষগোচর করেছেন কিছু দেশপ্রেমী প্রচার মাধ্যমের দৌলতে।

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে আবেদন করলেন সম্মিলিত ভাবে আপামর সব ভারতবাসী চিকিৎসক-নার্স-পুলিস-অ‌্যাম্বুলেন্স চালক,যাঁরা করোনা চিকিৎসায় নানা ভাবে যুক্ত,তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা-প্রীতি-ভালবাসা জানানোর জন্য।প্রথমদিন পাঁচ মিনিটের জন্য শঙ্খ,ঘন্টা,কাঁসর,থালা,উলুধ্বনি,এমন কি করতালি–যার যেটা সুবিধা তা বাজিয়ে দেশবাসী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।
দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী আবেদন রাখলেন রাত নটা থেকে নয় মিনিটের জন্য দেশবাসী বাড়ির বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে মোমবাতি-প্রদীপ-টর্চ-মোবাইলের ফ্লাশলাইট জ্বালিয়ে দেশ একতাবদ্ধ হবে।দু’দিনই সর্বস্তরের দেশবাসী তাঁদের উজাড় করা প্রীতি শ্রদ্ধা জানালেন করোনা যুদ্ধের সেনানীদের।
অথচ,মুসলিম-অনুগ্রহপুষ্ট বাম বুদ্ধিজীবী ও মুসলিম পরজীবীরা প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের বিরোধিতা করে করোনা যুদ্ধের সেনানীদের শ্রদ্ধা জানায় নি।এরাই নাগরিক আইনের বিরোধিতা করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ জ্বালিয়েছে।ভেঙে চুরমার করেছে।উত্তর প্রদেশে কমিউনিটি করোনা টেস্টের জন্য সরকারি কর্মীরা মহল্লায় গেলে তাঁদের মারধর করেছে!ইট-পাথর ছুঁড়েছে!গাড়ি ভেঙেছে!

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রীক দেশ।দেশটি জনবহুল ও ঘনবসতি পূর্ণও।তাই ভারতের,নৈতিক দায়িত্ব,কর্তব্য,জন কল্যাণকর নীতি আদর্শ,মানবিক গুণাবলীও অন্যদের চেয়ে আমাদের বেশি থাকবে এটাই কাম্য।স্বাভাবিক ভাবেই এখানে ব্যাপক ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।বিশাল সংখ্যক মানুষকে করোনা পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।করোনার আক্রমণ রুখতে ভারত সরকার বা রাজ্য সরকারগুলি যে নির্দেশকা জারি করছে তা প্রতিটি নাগরিকেরই মেনে চলা উচিৎ।মানা না-হলে কী অবস্থা হতে পারে,তা আমরা উন্নত দেশ আমেরিকা-ইতালি বা ইংল্যান্ডকে দেখে শিখতে পারি

সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই আমরা করোনাকে পরাজিত করতে পারব।একতাই শক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.