জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ এলাকায় বড় সাফল্য ভারতের। সব ঋতুতে ব্যবহারের জন্য জোজিলায় যে টানেলটি তৈরি করা হচ্ছে, তার দ্বিতীয় টিউবটি পাতার কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। টিউবটি লম্বায় প্রায় ৪৭২ মিটার। নির্মাণকারী সংস্থা মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (MEIL) এই সাফল্য স্বাভাবিকভাবেই ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত। দ্বিতীয় টিউব পাতার এই কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। তার উপর টানেলের ভিতর জল ঢুকে যাওয়ার কাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এই টানেলটি তৈরি হয়ে গেলে তা সারা বছর ব্যবহার করা যাবে। শীতে বরফের সময়েও এই টানেল ব্যবহার করতে কোনও সমস্যা হবে না। এই জোজিলা প্রজেক্ট কাশ্মীর উপত্যকাকে লাদাখের সঙ্গে যুক্ত করবে। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর মেইল সংস্থাকে এই টানেল তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। মোট ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি দুটি ভাগে বিভক্ত।
প্রথম ভাগটি দৈর্ঘ্যে ১৮ কিলোমিটার। এটি সোনমার্গের সঙ্গে তালতালকে যুক্ত করে। এই প্রথম ভাগের মধ্যে বেশ কয়েকটি সেতু রয়েছে এবং জোড়া টানেলও রয়েছে। প্রথম টানেলে থাকছে দুটি টিউব। প্রথম টিউবটি দৈর্ঘ্যে ৪৭২ মিটার এবং দ্বিতীয় টিউবটির দৈর্ঘ্য ৪৪৮ মিচার। প্রথম টিউবটির কাজ আগেই শেষ করেছিল নির্মাণকারী সংস্থা। দীপাবলির দিনে প্রথম টিউবটি পাতার কাজ শেষ হয়েছিল। আর আজ বিকেলের মধ্যে দ্বিতীয় টিউবটিও পাতার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর এই দুটি টিউবের কাজই নির্ধারিত সময়সীমার আগে শেষ করে ফেলেছে নির্মাণকারী সংস্থা মেইল।
উল্লেখ্য, টানেল পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা তৈরির পর চলতি বছরের মে মাসে থেকেই এই জোজিলা প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছিল মেইল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হিমালয়ের পার্বত্য এলাকার মধ্য দিয়ে টানেল তৈরি করা সবসময়ই এক কঠিন কাজ। কিন্তু মেইল নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যেই নিরাপত্তা-সুরক্ষা, গুণগণ মান এবং গতির সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সেই কাজ সম্পূর্ণ করেছে।
টানেলের দ্বিতীয় ভাগের টিউব দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার করে। সেই দ্বিতীয় ভাগের টানেলের কাজও পুরো দমে চলছে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্য়েই ওই দ্বিতীয় ভাগের টানেলেও টিউব পাতার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী নির্মাণকারী সংস্থা।
জোজিলার মূল টানেলের কাজও চলছে পুরোদমে। এটি লম্বায় ১৩.৩ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত লাদাখের দিক থেকে ৬০০ মিটার এবং কাশ্মীরের দিক থেকে ৩০০ মিটারের কাজ সম্পূর্ণ করেছে মেইল।