ভ্যাক্সিন কবে আসবে তা নিয়ে উত্তর দিলেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন। রবিবার দুপুর ১ টায় সানডে সংবাদ নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে ২৫ কোটি ভারতবাসীকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র কীভাবে দিন রাত কাজ করে চলেছে, সেকথা উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভ্যাক্সিন একবার প্রস্তুত হয়ে গেলেই বেশির ভাগ মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। জুলাই মাসের মধ্যে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিন কেন্দ্রের হাতে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বকে ভ্যাক্সিন দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাষ্ট্রসংঘে তিনি বলেন, ‘ভারতই বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী দেশ। তাই আজ গ্লোবাল কমিউনিটিকে আশ্বাস দিয়ে বলতে চাই, এই ক্রাইসিসে পুরো মানবজাতিকে সাহায্য করতে ভ্যাক্সিন উৎপাদন ও ডেলিভারি করবে ভারত।’
তিনি জানিয়েছেন, ভারত ফেজ ৩ ট্রায়ালের দিকে এগোচ্ছে। ১৫০ টি দেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোদী।
অগস্ট মাসেই মার্কিন সংস্থা Novavax -এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের। এই ভারতয় সংস্থাই বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী সংস্থা। চুক্তি অনুযায়ী এই সংস্থা ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন তৈরি করবে। সেগুলি ভারত এবং স্বল্প আয়ের দেশগুলিকে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, এই চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট তেরি করবে ভ্যাক্সিনের অ্যান্টিজেন কম্পোনেন্ট NVX-CoV2373। আর তাতে ২০২১-এর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ২০০ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিন তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংস্থার এই ভ্যাক্সিনন আপাতত মিড-স্টেজ ট্রায়ালে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এতে উচ্চমানের অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে, যা নোভেল করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করেছে। বছরের শেষেই চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালাবে এই সংস্থা।
গত মাসে মার্কিন সংস্থা জানায় যে তারা ২০২১-এর প্রথম দিকেই তারা ৬০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিন সাপ্লাই দেবে ইউকে-তে।