মোকশাগুন্ডাম বিশ্বেসবরণ্য(M Visvesvaraya), যিনি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, আজ তাঁর জন্মদিন ইঞ্জিনিয়ার দিবস (Engineers Day) হিসাবে পালিত হচ্ছে। স্যর এমভি বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজাইন আবিষ্কারের জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত। অনেকেই তাঁকে ইঞ্জিয়ারিং-এর জনক নামে অভিহিত করেছে।গুগল আজ তাদের ডুডল ডে-তে এম বিশ্বেসবরণ্যর 158 তম জন্মদিন পালন করছে। এমভি “কর্মই আরাধনা”-এই কথায় বিশ্বাসী ছিলেন। আজকের ডুডলে স্যর এমভি (M Visvesvaraya)-এর একটা রঙিন ছবি ও ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা ব্রিজের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রিজটা এম বিশ্বেসবরেণ্যর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কীর্তি, কৃষ্ণ রাজা সাগারা লেক অ্যান্ড ড্যামের প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর, ইঞ্জিনিয়ার দিবস।
আজ থেকে বহু বছর আগে, যখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর এতো সুবিধা ছিলনা, তখন এক ইঞ্জিনিয়ারের পরিকল্পনায় এক বিশাল বড় বাঁধ তৈরি করা হয়েছিলো। যা ভারতবর্ষের এক অদ্ভুত কৃতিত্ব ।
তিনি ছিলেন এম বিশ্বেস্বরায়া। তার জন্ম 15 ই সেপ্টেম্বর 1860 সালে হয়েছিলো । ভারতবর্ষে তার জন্মদিন কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে প্রতি বছর 15 ই সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ডে হিসেবে পালন করা হয়।
বিশ্বেস্বরায়ার জন্ম ব্যাঙ্গালোরের মহীসুর শহরে এক তেলেগু পরিবারে হয়েছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পর তাকে নাসিকে সহায়ক ইঞ্জিনিয়ারের পদে নিযুক্ত করা হয়।
তার কৃতিত্বে ই তৈরি হয়েছিলো ,’কৃষ্ণরাজ সাগর’ বাঁধ ,ভদ্রাবতী আয়রন এন্ড স্টিল ওয়ার্কস, মহিসুর বিশ্ববিদ্যালয় , ব্যাংক অফ মহিসুর। তিনি জলাশয়ে জল আটকানোর অটোমেটিক ফ্লড গেটের ডিজাইন তৈরি করেন । যা 1903 সালে প্রথম বার পুনেতে ব্যাবহার করা হয়।
1932 সালে ‘কৃষ্ণরাজ সাগর’ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে তিনি চিফ ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকায় ছিলেন। এই বাঁধ তৈরি করা অতোটা সহজ ও ছিলো না। কারণ সেইসময় সিমেন্ট ব্যাবহার করা হতো না । তিনি আরো কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার দের নিয়ে মর্টার তৈরি করেন , যা সিমেন্টের থেকেও মজবুত ছিলো । বাঁধ তৈরিও হলো, যা এখনো কর্ণাটকে রয়েছে । সেই সময় এই বাঁধ এশিয়ার বৃহত্তম বাঁধ ছিলো। বিহার এবং ওড়িশা এ অনেক রেলওয়ে ব্রিজ, বাঁধ নির্মাণেও তার ভূমিকা রয়েছে।
1912 – 1918 সাল পর্যন্ত তিনি মহিসুরের দেওয়ান পদে নিযুক্ত ছিলেন। 1955 সালে তাকে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয় । তিনি নইট কমান্ডার অফ দি ইন্ডিয়ান আম্পায়ার হয়েছিলেন ।
101 বছর বয়সে, 12 এপ্রিল 1962, কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে তিনি পরলোকগমন করেন!!
তাঁকে সম্মান জানাতে তার জন্মদিন ১৫ ই সেপ্টেম্বর প্রতি বছর ভারত, শ্রীলঙ্কা ও তানজানিয়ায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ হিসাবে পালিত হয়।