গোটা কাশ্মীর জুড়ে চলছে সেনার জঙ্গি দমন অভিযান। শুক্রবার সকালেই কাশ্মীরের বদগামে জইশ জঙ্গির খোঁজে শুরু হয় সেনার তল্লাশি অভিযান। গুলির লড়াই চলার পরে খতম হয় দুই জঙ্গি। এটি ছিল ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীরে তৃতীয় এনকাউন্টার। নিহত জঙ্গির সংখ্যা চার।
এ দিন বদগামের পারিগাম এলাকায় যৌথবাহিনী জঙ্গি দমনে তল্লাশি অভিযানে আসে। সেখানে সেনা ও সিআরপিএফ জওয়ানরা ঘিরে ফেলে এলাকা। আগে থেকেই সেখানে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। এর পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। এর পরে সোপিয়ানের জঙ্গলেও চলে জঙ্গি দমনের অভিযান।
এর আগে বুধবারও সোপিয়ানে এনকাউন্টার পর্ব চলে৷ সিআরপিএফ, সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন জঙ্গি খতম হয়৷
গত মাসের ১৪ তারিখে পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনার কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪৪ জন সেনা নিহত হন। হামলার দায় নেয় জইশ ই মহম্মদ। এর ১২ দিন পরে, ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইখ করে জইশ শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এর জেরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে।
সেনা সূত্রের খবর, তিনটি পরপর এনকাউন্টারে কাশ্মীরে এ পর্যন্ত নিকেশ করা হয়েছে মোট চার জনকে। তার মধ্যে রয়েছে দু’জন জইশ জঙ্গি। আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার পাঁচ জন জওয়ান। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে আমেরিকা নির্মিত উচ্চমানের স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেনা সূত্রের দাবি, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে এক জন বিদেশি বলে জানা গিয়েছে।