শ্রী গণেশ – শক্তি এবং প্রজ্ঞার আধারকে নমস্কার : শ্রী মোহন ভাগবত

সকলকে আমার নমস্কার জানাই।

আজকের উত্তেজনা এবং আনন্দে মাতোয়ারা জনতাকে আমার নমস্কার। ভাগ্যনগরের গণেশ উৎসব পালন এবং তার উত্তেজনা ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গার তুলনায় চিরকালই সেরা। উৎসব শোভাযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনাও এগিয়ে চলেছে। সারা পরিবেশ খুশি এবং আনন্দে পরিপূর্ণ। মিছিলটি কিছুক্ষণের জন্য এখানে থেমেছিল, জনগণ কয়েকটি মতামত শুনতে এখানে জমায়েত হয়েছেন। এই মহান সমাগম উপলক্ষে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উত্তেজনা এবং উন্মাদনার পাশাপাশি আমাদের বুদ্ধিমত্তা এবং জ্ঞান থাকাও উচিত। আজ গণেশ “নিমজ্জনম্” অর্থাৎ বিসর্জন চলছে। বিনায়ক হলেন শক্তি অর্থাৎ পার্বতী দেবীর পুত্র। পার্বতী দেবী হলেন জগৎ-জননী, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের দেবী। গণেশ তাঁর মহান ভক্ত। একবার দেব-দেবীদের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছিল, “সর্বশ্রেষ্ঠ কে?”

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে যিনি তিনবার মহাবিশ্বের প্রদক্ষিণ করবেন তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠের মান্যতা দেওয়া হবে। সমস্ত দেবদেবীরা তাঁদের বাহনে চড়ে উপস্থিত হলেন, শ্রী লক্ষ্মী দেবী এলেন তাঁর বাহন পেঁচায়, শ্রী সরস্বতী দেবী তাঁর বাহন রাজহংসে এলেন, শ্রী মহাবিষ্ণু এলেন তাঁর গরুড়ে, কার্তিকেয় উপস্থিত হলেন তাঁর ময়ূরে চড়ে এবং অন্যান্যরাও অনুরূপ ভাবে এলেন। প্রত্যেকে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হয়ে দাঁড়ালেন। তো তাঁরা শ্রী বিনায়ককে বললেন, “তুমি এত স্থূলকায়, এবং তোমার বাহন হলো অত্যন্ত ক্ষুদ্রকায় এক মূষিক, তুমি কিভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে? তুমি কি এখানে কেবল প্রতিযোগিতাটি দেখতে এসেছ? শ্রী গণেশ উত্তর দিলেন যে তিনিও অংশ নিতেই এসেছেন। প্রত্যেকে মহাবিশ্ব প্রদক্ষিণ শুরু করলেন। শ্রী গণেশ মহাদেব শিবকে সাক্ষী রেখে কেবল পার্বতী দেবীকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করলেন এবং প্রতিযোগিতায় জয়ী হলেন।

আমরা বিশ্বজুড়ে এখানে সেখানে ভ্রমণ করি। আমরা বিজ্ঞান এবং জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করি। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণা করি। তবে যিনি তাঁর মাতাকে নিষ্ঠা সহকারে ভক্তি করেন তিনি সমস্ত কিছুই অর্জন করেন। আমাদের মাতাগণ আমাদের গৃহে আছেন; জগম্মাতার পরে, মহাবিশ্বের জনক, ভারত মাতাই আমাদের সত্যিকারের মাতা। এই গণেশ উৎসবগুলির মাধ্যমে, আমাদের ভারত মাতার প্রতি ভক্তি ও যত্ন জাগানো উচিত। আমাদের বিজয়, খ্যাতি এবং কল্যাণ এতে নিহিত আছে। তবে অনুভূতি থাকা যথেষ্ট নয়, আমাদের সামর্থ্যও বাড়ানো উচিত।

শ্রী গণেশ শক্তির প্রতীক, তিনি শক্তির পুত্র, তিনি প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার ঈশ্বরও। প্রজ্ঞা না থাকলে শক্তির উপযোগিতা কি?

একজন ব্যক্তি তাঁর পোষা বানরকে সব কিছু শিখিয়েছিলেন, তিনি বানরের সাথে কথা বলতেন এবং তা সে বুঝতে পারত। একবার তিনি একটি গাছের নীচে ঘুমাচ্ছিলেন, ঘুমানোর আগে তিনি বানরটিকে তাঁর ছুরিটি দিয়েছিলেন তাঁকে রক্ষা করার জন্য। কিছুক্ষণ পরে, একটি মাছি এসে লোকটির নাকের উপরে বসে। এটি উড়ে যাচ্ছিল এবং বারবার ফিরে আসছিল। অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে বানরটি ছুরিটা বের করে লোকটির নাক কেটে ফেলল, অথচ মাছিটি সহজেই উড়ে গেল। আমরা বুদ্ধি ছাড়া শক্তি ব্যবহার করতে পারি না। শ্রীগণেশ হলেন জ্ঞানের ঈশ্বর।

বুদ্ধি আমাদের সমস্ত কিছু এবং প্রত্যেকের সম্পর্কে জানতে শেখায়, একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনি কী, আমি কী এবং এভাবেই আরও সব কিছু। আমরা প্রত্যেকের গোপন বাপারও বুঝতে পারি। তবে আমাদের উচিত তা পেটে রাখা, এবং এর জন্য আমাদের বড় পেট প্রয়োজন, গণেশের মতো লম্বোদর। আমাদের সমাজ খুব বড়, বিভিন্ন ধরণের লোক সমেত। সবাইকে একত্রে আবদ্ধ রাখতে আমাদের সবার মানসিকতা প্রয়োজন। আমাদের সবকিছু নিয়ে আলোচনা করা উচিত। গণেশ হলেন বাণীর দেবতা; ভাষার জ্ঞান সবার জন্য মঙ্গলময়। সমস্ত ত্রুটি এবং ভুলগুলি এর পেটের ভেতরে হজম করে নেয় এবং সময়মত তাকে সংশোধন করে। শুধু তাই নয় গণেশের বড় নাক, দুটি তীক্ষ্ন চোখ এবং খুব বড় কান রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে কিছুই গোপন নেই। লোকেরা সঠিকভাবে বা ভুলভাবে চিন্তা করছে কিনা তা তিনি জানেন। সঠিক ভাবনার লোকেদের তিনি লাড্ডু উপহার দেন। লোকেরা যদি বেশি পরিমাণে লাড্ডু খান এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তবে তার প্রতিকারের জন্য তাঁর ২১ ধরনের পাতা রয়েছে। যে লোকেরা ভুল ভাবছে তাদের বেঁধে ফেলার জন্য তাঁর রয়েছে শুঁড়। যাঁরা সমাজকে সুশৃঙ্খলায় বেঁধে রাখেন এবং নিজেরা স্ব-অনুশাসন বজায় রাখেন, হাতে গজাল নিয়ে তিনি তার প্রতিনিধিত্ব করেন।

শ্রীগণেশ ১০ দিনের জন্য এই সমস্ত গুণাবলী নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কোথা থেকে আসেন? কোথায় যান? তিনি কোথা থেকেও আসেন না বা কোথাও ফিরে যান না। আমি আপনাকে বলবো যে তিনি কোথায় থাকেন, সমগ্র চব্বিশ ঘণ্টাই, এই সমস্ত সৃষ্টিতে, অনন্তকাল ধরে, তিনি আমাদের কাছেই রয়েছেন। প্রথমত, আমাদের মূলাধারে–অস্তিত্বের মূল এবং মূল ভিত্তি; দ্বিতীয়ত, এই সৃষ্টির সর্বত্র তিনি বিস্তৃত, তিনি গণ-নায়ক, সেনাবাহিনীর সেনাপতি–তিনি সকলকে আবদ্ধ করেন এবং সকলকে নেতৃত্ব দেন। তিনিই হলেন যিনি সকলকে আবদ্ধ করেন, সকলের সাথে থাকেন এবং সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি খুব সতর্ক ও যত্নবান। আমাদের দেশের সর্বদা সজাগ থাকা দরকার, এমনকি ছোট ছোট বিষয়েও। বৃহত্তর বিষয়গুলোতে আমরা সফল হয়েছি। মানুষ তাদের অস্ত্র এবং শক্তি দিয়ে দেশকে জয় করতে চেয়েছিল, মানুষ আমাদের মস্তিষ্ক দিয়ে বিভ্রান্ত করে আমাদের দেশকে পরাস্ত করতে চেয়েছিল, কোনোকিছুই কার্যকর হয়নি। এখন তারা জয়ের জন্য আরও ছোট সংকীর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করছে। টিভিতে কিছু ছোট টুকিটাকি খবর দেখিয়ে, কয়েক জন কিছু লিখছেন এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকা উচিত, এই ছোটখাটো বিষয়ে আটকে পড়া উচিত নয়, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি করা উচিত নয়, আমাদের সবার সাথে আবদ্ধ থাকা এবং সবাইকে সাথে নিয়ে চলা উচিত।

শ্রী গণেশ হলেন সংগঠনের অধিপতি, এবং নিজেদের সংগঠিত করাই আজ আমাদের সমাজে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রয়োজনীয়, আমাদের আর অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। আমরা যদি সংগঠিত হয়ে থাকি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকি তবে ভাল লোকেরা স্বস্তি পায় এবং খারাপ লোকেরা নিশ্চুপ হয়ে যায়। কেবলমাত্র আমাদের দেখেই। এমনকি শ্রীগণেশের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য, আমাদের ইচ্ছা পূরণ হয়ে যায় যদি আমরা তাঁর দর্শন করি এবং আমরা তাঁকে স্মরণ করি, আমাদের আর কোনোকিছুর সন্ধান করার প্রয়োজন হবে না। আসুন, আমরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিই যে আমরা সকলেই একই সমাজের অন্তর্ভুক্ত, শ্রীগণেশ যিনি অনন্ত সর্ববিচরণকারী, যিনি আত্মা ও পরমাত্মার রূপ, তাঁকে আমরা আহ্বান করি আমাদের গৃহে। অতিথি সেবক হিসাবে আমরা তাঁকে নৈবেদ্য প্রদান করি, আমরা তাঁকে আমাদের আপনজনের মতো করে রাখি। তারপরে তিনি বিশ্বের যত্ন নিতে বিশ্ব ভ্রমণে চলে যান এবং পরের বছর তিনি ফিরে আসেন।

আমরা যখন শ্রীগণেশের এই রূপের উপাসনা করি তখন আমরা তাঁর মতো হওয়ার চেষ্টা করি। ফুল, ফল, জল ইত্যাদির মতো আমাদের প্রদত্ত সমস্ত নৈবেদ্যসমূহ কেবল প্রতীকীমাত্র, তবে উপাসনার প্রকৃত অর্থ হল আমাদের চেষ্টা করা উচিত তাঁর মতো হয়ে ওঠার । আমাদের অবশ্যই শ্রীগণেশের মতো পরাক্রমী ও ক্ষমতাবান হয়ে উঠতে হবে। ক্ষমতাশালী হওয়া মানে অন্যকে হত্যা করা, আঘাত করা বা হয়রানি করা নয়, বরং নিজেকে শক্তিশালী মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার অর্থ হল যাতে খুনি এবং হয়রানকারীরা আমাদের পরাভূত করতে না পারে। ভাল মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের শক্তির প্রয়োজন। এটি দুর্বল ও অসহায়দের রক্ষাকারী। আমাদের শক্তি কখনই অন্যকে ভয় দেখাবে না বা আঘাত করবে না। আমরা অন্যকে ভয় করি না বা ভয় দেখাই না। শ্রী গণেশের মতো আর একটি শক্তি-পুত্র হলেন শ্রী হনুমান। শ্রীগণেশ ও শ্রী হনুমানের মধ্যে দুর্দান্ত বন্ধুত্ব রয়েছে।

শ্রীগণেশের উপাসনা করার অর্থ তাঁর মতো শক্তিশালী হওয়া। তবে শক্তির সাথে দিকনির্দেশনার জন্য প্রয়োজন প্রজ্ঞা। আর শক্তি এবং জ্ঞান উভয়েরই প্রয়োজন ভারত মাতার প্রতি ভক্তি। ভারত মাতার প্রতি ভক্তি মানে ভারতের প্রকৃতি, মানুষ, জল, বন, জমি, গাছ এবং প্রাণীজগতের প্রতি ভক্তি। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে, যদি আমাদের মাতৃভূমির প্রতি আকুল ভক্তি থাকে, তবে শক্তি, বুদ্ধি এবং প্রজ্ঞা সমস্ত লোকের পক্ষে সম্পূর্ণ উপকারী হবে। এই গুণাবলীর পাশাপাশি, আমাদের শ্রীগণেশের উদার এবং সহনশীল মনোভাব এবং অন্যের ভুলকে শোষণ ও সংশোধন করার দক্ষতা আত্মস্থ করা উচিত; যার পরিচায়ক তাঁর দীর্ঘ শুঁড় , তীক্ষ্ণ চোখ এবং বড় কান এবং তাঁর বাহন, ক্ষুদ্র মূষিক। মূষিক যেতে পারে না এমন কোনও জায়গা নেই, এটি সমস্ত কুলুঙ্গি এবং কোণে যেতে পারে, আমরা একে ধরতে পারি না। মূষিক এমনকি মূষিক-ফাঁদ থেকেও বাঁচতে শিখে গেছে। এটি সর্বগামী এবং সমস্ত স্থান থেকে তথ্য নিয়ে আসে, তবুও তা নিজের মধ্যেই থেকে যায়। আমাদের সেইরকম হয়ে উঠতে হবে, সর্বত্র পৌঁছে যেতে হবে, সম্যক অবগত হতে হবে, এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর মতো সবার কল্যাণ সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।

আজ আমরা শ্রীগণেশকে বিদায় জানাচ্ছি, আমরা তাঁকে বলছি, আপনার সর্বত্র কাজ রয়েছে, দয়া করে যান এবং শেষ করুন, তবে আগামী বৎসরে শীঘ্র ফিরে আসুন। মহারাষ্ট্রে আমরা বলি, “গণপতি বাপ্পা মোরিয়া , আগলে বরস তু জলদি আ”, অর্থাৎ আগামী বৎসরে শীঘ্র ফিরে আসুন। কখনও কখনও বর্ষপঞ্জির কারণে অতিরিক্ত মাসের বিলম্ব হয়। কিন্তু তিনি ফিরে না এসে দূরে থাকতে পারবেন না। কেন তিনি প্রতি বছর ফিরে আসেন? কারণ তিনি মনে করেন যে তিনি যদি আমাদের বাড়িতে আমাদের মধ্যের একজন হিসাবে থাকেন তবে আমরা তাঁর কাছ থেকে কিছু ভাল জিনিস শিখব। তিনি আমাদের সাথে থাকতে ভয় পান না, তিনি ঈশ্বয, কোনও ভুলভ্রান্তি তাঁকে স্পর্শ করে না। তিনি যেখানে থাকেন সেখানে কোনও ভুল হতে পারে না। তবে তাঁর কাছ থেকে আমাদের ভাল জিনিস শিখতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভাল জিনিস শেখা উচিত, অন্যের খারাপ জিনিসগুলি উপেক্ষা করা উচিত। আমরা যদি অন্যের মধ্যে স্নেহ এবং বন্ধুত্বের সাথে খারাপ জিনিসগুলি শেষ করতে সহায়তা করতে পারি তবে আমাদের তার চেষ্টা করা উচিত। তবে সবার সাথে একত্রিত হোন, অন্যের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মধ্যে শক্তি নিহিত রয়েছে। মানুষকে একত্রিত করে আমাদের সেই শক্তি তৈরি করা উচিত।

অন্যের সাথে যোগদানের মধ্যে যে বিশ্বের কল্যাণ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা অন্তর্নিহিত থাকে, আমাদের সেই একীকরণের চেতনা জাগ্রত করা উচিত। এটি করার সময় আমাদের আপন স্বার্থ চরিতার্থ দিকে নজর দেওয়া উচিত নয়। কেন আমরা এসব করছি? আমরা ভারত মাতার জন্য এসব করছি। “তেরা বৈভব অমর রহে মা, হম দিন চার রহে না রহে।” আমাদের এই চেতনার সাথে কাজ করা উচিত। মহাবিশ্বকে প্রদক্ষিণ করার সময় শ্রী গণেশ তা অর্জন করেছিলেন । আমাদের শ্রী গণেশকে আমাদের জীবনে অনুকরণ করার কঠোর চেষ্টা করা উচিত, কেবল মাত্র উৎসব সত্তা হিসাবে তাঁকে গ্রহণ করা নয়। আমরা যদি তা করতে সক্ষম হই তবে অনন্ত চতুর্দশীর এই পবিত্র দিনে শ্রী গণেশকে দেওয়া বিদায়কে লালিত করা হবে। যদি আমি জানতে পারি যে এই বিদায়ী যাত্রার অংশগ্রহণকারীরা সেইরকম হওয়ার চেষ্টা করছে না, তবে আমি আবারও আপনাদের সবার প্রতি জোড়হাতে কৃতজ্ঞতা জানাতে দেখা করব।

নমস্কার। ধন্যবাদ।

শ্রী মোহন ভাগবত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.