কেউ ৮ বছর, কেউ আবার ৫ বছর আগে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নাম ভাঁড়িয়েই দিব্যি চলছে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ। এমনই অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত নন্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতের আত্মীয়রা।
স্থানীয় দুপসা গ্রাম নিবাসী ভ্যাবল মোল্লা বিডিওকে জানিয়েছেন, তাঁর মা নুরনাহার বিবি ২০১৪ সালের ৩০ জুলাই প্রয়াত হয়েছেন। তার পরও কাগজে কলমে তাঁরা মায়ের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু ঘরের টাকা তাঁরা কেউ পাননি। সম্প্রতি তিনি জানতে পেরেছেন যে, তাঁর মায়ের নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা অন্য জন হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভ্যাবল মোল্লা ছাড়াও স্থানীয় কুতিরডাঙা নিবাসী শিখা মধু এদিন বিডিওকে অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবা মহাদেব মধুর ২০১৭ সালে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, তাঁর প্রয়াত বাবার নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হয়েছে, এবং ঘরের টাকা তাঁরা পাননি। জালিয়াতি করে অন্যজন তাঁর বাবার নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কুতিরডাঙা নিবাসী সুশীলা বিশ্বাসও একই ধরণের অভিযোগ করেছেন। এমনকি প্রকৃত গৃহহীনকে বঞ্চিত রেখে দোতলা বাড়িতে বসবাস করা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি নিজের স্ত্রীর নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠতেই মুখ লুকিয়েছেন নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুর ঘোষ ও উপ-প্রধান লিয়াকত শেখ। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কেউই মুখ খুলতে চাননি। বিডিও (কালনা- ১) সেবন্তী বিশ্বাস বলেছেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে তদন্তে খুব দ্রুত সত্য প্রকাশ পাবে। তদন্তে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’