বহু প্রতীক্ষিত দিল্লী বিধানসভার ভোটের (Delhi Assembly Election) আজ ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে। প্রত্যাশা, অপেনিয়ন পোল আর এক্সিট পোল অনুযায়ী দিল্লীতে একছত্র ভাবে ক্ষমতায় আসতে চলেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। এবং তৃতীয় বারের জন্য দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন আম আদমি পার্টির সংস্থাপক অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)।
দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচনে সবাই নজর লাগিয়ে বসে ছিল। কারণ দিল্লী দেশের রাজধানী ছাড়াও হয়েও উঠেছিল নাগরিকতা সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রদর্শন, হিংসাত্মক বিক্ষোভ এবং দেশ বিরোধী মন্তব্যের আখড়া। শুরুটা হয়েছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Millia Islamia) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দ্বারা হিংসাত্মক প্রদর্শন দিয়ে। এরপর সিলমপুর তারপর শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) মুসলিম মহিলাদের ধরনা।
এখানেই শেষ না! এরপর চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন গবেষক ছাত্র শারজিল ইমামের দেশ বিরোধী স্লোগান। সিএএ এর বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকারের মাথা হেট করতে শারজিল আহমেদ ভারতের মুসলিমদের এক হয়ে ভারত থেকে আসাম আর পুর্বের রাজ্য গুলোকে আলাদা করার ডাক দিয়েছিল।
দিল্লীর হিংসায় সবথেকে বেশি নাম যার উঠেছিল, সে হচ্ছে আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমাতউল্লাহ খান। তিনি এবারও আম আদমি পার্টির টিকিটে ওখলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ওখলা বিধানসভার অন্তর্গত শাহিনবাগ। যেখানে প্রায় দুই মাস ধরে রাস্তা ব্লক করে চলছে ধরনা প্রদর্শন।
এই আমাতউল্লাহ খানের বিরুদ্ধে সিএএ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের নামে দাঙ্গা, হিংসা আর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার যথেষ্ট প্রমাণ ছিয়েছিল দিল্লী পুলিশ। এবারের নির্বাচনে ওখলা বিধানসভা এলাকা থেকে আমাতউল্লাহ খান এগিয়ে রয়েছে।
তবে সবথেকে আশ্চর্য ব্যাপার হল, দিল্লীর ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই খালি হয়ে যাচ্ছে শাহিনবাগ। আজ সকাল থেকে সেখানে ধরনা দেওয়ার জন্য হাতে গোনা দুই একজন পৌঁছেছেন। বিজেপির নেতারা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, দিল্লীর ফলাফল ঘোষণা হলেই শাহিনবাগ ফাঁকা হয়ে যাবে। কারণ এই ধরনার পিছনে হাত রয়েছে কেজরীবালের। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। বিজেপিকে হারানর উদ্দেশ্যেই যে শাহিনবাগে এই ধরনা বসেছিল, সেটা এখন স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে।