ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে বিপাকে পাকিস্তান, ভারতীয় পন্য না যাওয়ায় ঈদ পালন করা হল মুশকিল

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ভারতকে শায়েস্তা করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে দিলো। ভারতের সাথে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করার পর থেকে পাকিস্তান এখন কাঁদতে বসেছে। ভারত থেকে আমদানি করা সামগ্রী গুলোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই পাকিস্তানের বাজারে দৈনন্দিন জিনিষ গুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে এগছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানের যে, পাকিস্তানিরা এখন ঈদের শপিংও করতে পারছে না।

পাকিস্তানের জন সাধারণ এবং সেখানকার ব্যাবসায়িরা জানাচ্ছে যে, এই বার ঈদ পালন করা তাঁদের পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়বে। তাঁরা জানান, ভারত থেকে আসা সামগ্রী বন্ধ করে দেওয়ার পর পাকিস্তানে এখন সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আর সব জিনিসের দাম বাড়ার ফলে, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিষ গুলোর বাজেট বিগড়ে গেছে। এখন পাকিস্তানে বিয়ে আর ঈদ দুটোর চলছে, আর পাক সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান এবার ঠিকঠাক ঈদ পালন করতে পারবেনা।

বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য, সবজির দাম হঠাত করে বেড়ে গেছে। টমেটোর দাম ৩০০ টাকা প্রতি কিলো হয়ে গেছে। টমেটো ছাড়া অনান্য সবজির দাম বেড়ে যাওয়াতে পাকিস্তানের মানুষ চরম সঙ্কটে। এমনিতেই পাকিস্তান আর্থিক দিক থেকে কমজোর হয়ে যাচ্ছে। দেশে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার শেষের দিকে। পাকিস্তানের জনতা এখনো দুই দিক থেকেই মার সহ্য করছে।

এছাড়াও দুধের দাম পাকিস্তানে এখন ১০০ টাকা পার করে গেছে। করাচি ডেয়ারি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশান কিছুদিন আগেই দুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডন” এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রশাসনের নির্ধারণ করার দামের থেকেও বেশি দামে দুধ বিকোচ্ছে পাকিস্তানে।

পাকিস্তানে এখন সোনার দাম সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে। যেই ১০ গ্রাম সোনার দাম ভারতে ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা। সেটা এখন পাকিস্তানে ডবল দামে বিক্রি হচ্ছে। বিগত এক সপ্তাহে পাকিস্তানে সোনার দাম ১৭৫০ টাকা বেড়েছে। পেট্রোল আর ডিজেলের দামে আগে থেকেই আগুন লেগে আছে।

ভারতের সাথে উত্তেজনা বাড়ার পর থেকেই পাকিস্তানের শেয়ার বাজার চরম ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে সেখানে শেয়ার বাজারে সবথেকে বড় ধস দেখা গেছে। মাত্র দুই দিনেই করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় ১৫০০ সূচকের ধস দেখা গেছে। আর সেখানকার বিনয়োগকারীদের ৭৪০০ কোটি টাকা ডুবে গেছে।

অফিসিয়ালি ভাবে ভারতের সাথে ব্যাবসা বন্ধ করে দেওয়ার পর পাকিস্তান আরও ক্ষতির সন্মুখিন হতে চলেছে। কারণ দ্বিপাক্ষিক ব্যাবসায়ে পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ জিনিষ ভারত থেকে যায়। আর পাকিস্তান থেকে মাত্র ২০ শতাংশ সামগ্রী ভারতে আসে। আর এর জন্যই ইমরান খানের এই সিদ্ধান্তে ভারত সরকারের কিছু যায় আসেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.