গত দুই দিনের মতো বুধবারও ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানগুলি সীমান্ত অঞ্চলে কড়া ভাবে নজর রেখেছে। একই সঙ্গে উত্তর কাশীতে নেলং সীমান্তের শেষ পোস্টগুলিতে সেনা ও ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনীর (আইটিবিপি) সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
পূর্ব লাদাখে এলএসি-তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জেরে উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতেও বিমান বাহিনী পুরোপুরি সজাগ রয়েছে। উত্তর কাশী সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে জওয়ানের সংখ্যাও। উত্তরাখণ্ডে ভারত ও চিনের মধ্যে ৩৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানা রয়েছে। এর মধ্যে ১২২ কিলোমিটার উত্তরকাশীর মধ্যে পড়ে। এই বিশাল সীমানা রক্ষার দায়িত্ব আইটিবিপির।
উত্তর কাশীর নেলং সীমান্তের শেষ পোস্টে আইটিবিপি ও জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে থাকা এই সীমান্ত নিয়ে সেনাকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সোমবারে এই এলাকায় রাউন্ড পরিদর্শন চালিয়েছিল বায়ুসেনার বিমান।
অন্যদিকে একদিকে যখন চিনের সঙ্গে বিরোধ তীব্র হচ্ছে, তখন বৃহস্পতিবার ভারত চিনের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক। রাশিয়ার রাজধানীতে ভারত চিন এবং রাশিয়া তিন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন। আপাতত ঠিক আছে আছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর এবং চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াংইর বৈঠক হবে এবং তাদের বৈঠক হবে দু’দফায়।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রের দাবি, অগাস্টের শেষে প্যাংগং লেকের দক্ষিনে তিনটি গিরিখাতের ভারতীয় সেনা নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে। এর ফলে চাপে রয়েছে বেজিং। অবস্থানগত দিক থেকে ভারত সুবিধাজনক অবস্থায় থাকায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে চিনের। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এটা প্রভাব পড়বে কূটনৈতিক দরকষাকষিতে।