আগামিকাল শুক্রবার পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট ৷ তার আগে বৃহস্পতিবার পেশ হল অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯ ৷ আর যাতে আঁকা হয়েছে আশাবাদী ছবি ৷ সেখানে ২০১৯-২০ সালে বৃদ্ধির হার সাত শতাংশ দেখান হয়েছে৷ যেখানে গত বছর ছিল ৬.৮ শতাংশ যা ছিল গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন৷ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে, চাহিদা এবং বিনিয়োগ নতুন করে বাড়বে বলে আশা করা হয়েছে ৷
এই সমীক্ষার ভবিষ্যতবাণী এবং রিজার্ভ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ একই কথা বলছে – কারণ সেখানেও জুন মাসে তা ৭.২ শতাংশ থেকে ২০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা বলা হয়েছিল৷ এদিকে চিন-মার্কিন বাণিজ্য ঘিরে টেনশন দানা বাধায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বছরেই তিন বার সুদের হার কমিয়েছে৷ যাতে শুক্রবার সরকারের বাজেটকে সহায়তা করতে চাইবে অর্থনীতিতে গতি আনতে নজর দেবে৷
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছেন, বার্ষিক অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উপরের দিক থেকে এবং নিচের দিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে ব্যালান্স করা হচ্ছে ৷ এই সমীক্ষার প্রণেতা মুখ্য অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মমনিয়াম জানান, দেশের রাজনৈতিক স্থিরতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা আলাদা উদ্দিপণা আনবে , পাশাপাশি বেশি করে ক্ষমতার সাপেক্ষে কাজে লাগানোর প্রবণতা এবং ব্যবসা নিয়ে আশা বৃদ্ধি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াবে৷
এই সমীক্ষা অবশ্য সতর্ক করেছে, দেশে অর্থনৈতিক মন্থরতা হয়তো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি প্রভাব ফেলবে কর আদায় এবং কৃষি ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ে৷ ধরা হয়েছে বিনিয়োগের হার বাড়বে যখন গ্রাহকদের চাহিদা এবং ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে উন্নতি হবে৷ রিজার্ভ ব্যাংকের সহজ ঋণনীতির ফলে আশা করা হচ্ছে প্রকৃত অর্থে ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কমবে এবং তার ফলে আর্থিক সহায়তা বাড়লে লগ্নিও বাড়বে আগামী কয়েক মাসে৷ তাছাড়া অদেয় ঋণের অনুপাত কমিয়ে মূলধনী ব্যয় উজ্জীবিত হবে ৷
সমীক্ষা বলছে, তেলের দাম ২০১৮ সালের সর্বোচ্চের তুলনায় কম থাকলে গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক কারণ সেটাই তো জিডিপি-র ৬০ শতাংশ ৷ এভাবে গ্রাহকরা ঘুরে দাঁড়ানো পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রও ঘুরে দাঁড়াবে যেটা অবশ্য নির্ভর করছে বৃষ্টিপাতের উপর ৷ অন্যদিকে অন্য ঝুঁকির দিকটা হল রফতানি বৃদ্ধির দুর্বলতা এবং বাড়তি জোর দেওয়া শ্যাডো ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে ৷
বৃষ্টি কম হলে কৃষি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে, যা দেশের অর্থনীতির ১৫ শতাংশ এবং দেশের অর্ধেক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে ৷ আবহাওয়া অফিস অনুসারে ১জুন থেকে ২ জুলাই সময়ে দেশের ৬৯ শতাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে ৷ ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বেশ কিছু স্থানে আশা করা হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে ফলে ঝুঁকি থাকছে৷ বাকী ক্ষেত্রে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্নতি হবে৷