বৃদ্ধির পালে বাতাস জোগাতে সরকারের যে সব ভাবনা রয়েছে, তার মধ্যে করের হার কমানো অন্যতম, শনিবার এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। একটি ইংরেজি সংবাদপত্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, সরকার অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলছেন, “তাঁরাই বলছেন অর্থনীতি যাতে চাঙ্গা হয় তেমন কিছু করতে।” করদাতাদের জন্যও সুখবর দিয়েছেন। তিনি জানান, করকাঠামো কী ভাবে আরও সরল করা যায় এবং কী ভাবে তা আরও নির্ঝঞ্ঝাট করা যায়, তা নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি বলেন, “আমরা এখন ‘ফেসলেস’ পদ্ধতির মাধ্যমে কর অ্যাসেসমেন্ট আরও নির্ঝঞ্ঝাট করার দিকে এগচ্ছি – এটা হবে সরল ও নিরুপদ্রব।”
পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়েও উদ্বেগ গোপন করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি মনে করেন, এ দেশে আরও ভাল আইন প্রয়োজন। তিনি জানান, জিএসটি কাউন্সিলের প্রতিটি বৈঠকেই আলোচনা হয়, কী ভাবে পণ্য ও পরিষেবা কর আরও কমানো যায় তা নিয়ে।
৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবাসন, বিমা, স্বাস্থ্যপরিষেবা ও পরিবেশের উপরে জোর দেন। যে সব কাজে দক্ষতা প্রয়োজন হয়, সেই সব কাজের উপরেই তিনি জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।
অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার মন্থর হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রেই এটা হচ্ছে। তা ছাড়া তিনি মনে করেন যে, কয়েকটি ক্ষেত্র ইতিমধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, যদিও কয়েকটি ক্ষেত্রের সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমি চাই বড় মাপের উদ্দীপক দিতে।”
ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যাতে উঠে না যায়, সে দিকেও তিনি নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
দেশে বৃদ্ধির হার কমতে কমতে এখন ৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দেশে প্কৃত বৃদ্ধির হার আসলে ১.৫ শতাংশ মতো। অর্থনীতিবিদ তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং এই অবস্থাকে মন্দা বলে অভিহিত করেছেন। বিরোধীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নিক দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ। কেন্দ্রীয় সরকার তা মানছে না বলেই অবস্থাও বদলাচ্ছে না। দেশে বেকারত্বের হারও গত ৪৫ বছরে সর্বাধিক হয়েছে। এ ছাড়াও বিরোধীদের অভিযোগ, বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন উপযুক্ত ভাবে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু না করতে পারার জন্য। সরকার অবশ্য বিরোধীদের এইসব বক্তব্য মানতে রাজি নয়।