একদিকে সেনা জঙ্গি সংঘর্ষ। অন্যদিকে ভূমিকম্প। সকাল সাতটা নাগাদ দুলে উঠল জম্মু কাশ্মীরের মাটি। রিখটার স্কেল বলছে কম্পনের মাত্রা ৫.৮। মঙ্গলবারের কম্পন যোগ করলে তিন দিনে এই নিয়ে তিনবার ভূমিকম্প (eathquake)হল উপত্যকায়।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ভূমিকম্পের উৎস ছিল তাজাকিস্তান। মাটি থেকে ১০০ কিমি গভীরে কম্পন হয়। কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে শ্রীনগর, কিশতওয়ার, ডোডা জেলায় ভালমত কম্পন অনুভূত হয়েছে। মৃদু কম্পন বোঝা গিয়েছে জম্মুর বেশ কয়েকটি এলাকাতেও।
১৫ই জুন অর্থাৎ সোমবার রাতেও ৩.৬ মাত্রার একটি কম্পন হয় জম্মু কাশ্মীরে। ৯ই জুনও ভূমিকম্প হয় কাশ্মীরে। শ্রীনগর থেকে ১৪ কিমি দূরে উত্তর দিকে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল বলে জানা যাচ্ছে। গান্দেরবাল থেকে এই এলাকার দূরত্ব ৭ কিমি।
সকাল ৮ টা ১৬ নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৩.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পে মাটি কেঁপে ওঠে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য এই ভূমিকম্প কাশ্মীরে হলেও বারে বারেই ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে।
এর আগে, সোমবার দ্বিতীয় এবং শেষ ২৪ ঘণ্টায় তৃতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গুজরাত। দুপুরের ভূমিকম্পের পরে বিকেল ৪টে নাগাদ ফের ভূমিকম্প হয়েছে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ৪.১ তীব্রতা সম্পন্ন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গুজরাতের কচ্ছ অঞ্চল।
ভূজ সিসমোলজি ডিপার্টমেন্ট সূত্রে খবর, বাছাউ অঞ্চলের ৬ কিলোমিটার উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। তিনবার ভূমিকম্প ছাড়াও রবিবার থেকে ১৫ বার আফটার শক বোঝা গিয়েছে গুজরাতে। বেড়েছে আতঙ্ক তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের ভয়াবহ স্মৃতি রয়েছে গুজরাতের। শেষবার ২০০১ সালে প্রবল ভূমিকম্প হয় সেই রাজ্যে। এছাড়া, ১৯৫৬ ও ১৯১৮ তেও ব্যাপক ভূমিকম্প হয় গুজরাতে।
২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি ৬.৯ মাত্রা কম্পন নয়, যা স্থায়ী হয়েছিল প্রায় ১০০ সেকেন্ড। কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপালও। এদিকে, দিল্লিতে দু’মাসে অন্তত ১২ বার ভূমিকম্প হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ কোনও বড়সড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত।