আগে হিন্দুদের সমর্থন দরকার হলেও, এখন আর তার প্রয়োজন নেই হাসিনার; তাই বাংলাদেশে চলছে নিয়ম করে হিন্দু নিধন যজ্ঞ এই বলে মুজিব কন্যাকে বিঁধলেন তসলিমা

হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু না হলেও তা দীর্ঘদিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়। হিন্দু বলে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা এক ধ্বংসাত্মক প্রবণতা এবং তা সুস্থ্য মানব চেতনার পরিপন্থী।
বাংলাদেশ আজ কার্যত জেহাদিদের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে যেখানে ধর্মের নামে চলছে দৈনন্দিন উৎপীড়ণ। স্বদেশ থেকে বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের কলমে সব সময় ফুটে উঠেছে জঙ্গি মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। খুলনায় সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে সরব হতে গিয়ে ‘লজ্জা’র লেখিকা তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

ফেসবুক পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, “লজ্জা লিখেছিলাম ২৯ বছর আগে। বর্ণনা করেছিলাম হিন্দুদের দোকানপাট, বাড়িঘর, মন্দির কী করে ভাঙ্গে, জ্বালিয়ে দেয়, পুড়িয়ে ছাই করে ইসলামের সৈনিকেরা। বর্ণনা করেছি অতি দেশ প্রেমিক, এমনকী ধর্ম-না-মানা হিন্দুদেরও কী ভাবে বাধ্য হয়ে পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি ত্যাগ করতে হয়, জীবন এবং অবশিষ্ট সম্মানটুকু বাঁচানোর তাগিদে ছাড়তে হয় প্রিয় দেশ। বই লিখে কী হয়? কিচ্ছু হয় না। আজও একই রকম চলছে হিন্দুর ওপর অত্যাচার। আজও কোনও সরকারই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা করেনি। আজও হিন্দুরা জীবন এবং সম্মান বাঁচাতে দেশ ত্যাগ করছে।”
হিন্দুদের দুরাবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন,” হিন্দু-সংখ্যা এত কম যে এটি এখন আর ভোট ব্যাংকও নয়। হাসিনার অবশ্য ভোট টোটেরই আর দরকার নেই। তিনি ওসব ছাড়াই ক্ষমতায় আমৃত্যু থাকবেন বলে পণ করেছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতা, উদারতা, গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা? ফুঃ! ওসব তিনি থোড়াই কেয়ার করেন। ঝুলন দাস এখনও বিনা অপরাধে জেল খাটছেন। হাসিনার কিছু যায় আসে? কিচ্ছু না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.