মহামারীর সময় আবার দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, সারের উপর ভর্তুকি বাড়ালেন ১৪০%
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এখন আর এর মাঝেই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সারের উপর ভর্তুকি বাড়ালেন ১৪০%, ৫০০ টাকার ভর্তুকি এখন হবে ১২০০ টাকা প্রতি ব্যাগ আর ১২০০ টাকার ভুর্তুকি হবে ২৪০০ টাকা প্রতি ব্যাগ। প্রধানমন্ত্রী জানান তাঁর সরকার কৃষকদের প্রতি দায়বদ্ধ, এই সয়ময় সারের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত।
বাড়তি ভর্তুকির এই সিদ্ধান্তের ফলে খরচ হবে প্রায় ১৪ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন এবং সেখানে সিদ্ধান্ত নেন ভর্তুকি বাড়ানোর।
আন্তর্জাতিক বাজারে ডিএপি এর কাঁচামাল, ফসফরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া ইত্যাদির দাম বৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু তার প্রভাব দেশের কৃষকদের উপর পড়তে দিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়লেও সেই বর্ধিত দাম ভর্তুকির মাধ্যমে কমিয়ে আনা হবে এবং কৃষকরা আগের দামেই সার কিনতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকরা ডিএপি এর প্রত্যেকটি ব্যাগে ভর্তুকি পাবেন ৫০০ এর বদলে ১২০০ টাকা। গতবছর ডিএপি এর দাম ছিল প্রায় ১৭০০ যার উপর ভর্তুকি ছিল ৫০০ অর্থাৎ মূল দাম দাঁড়াত ১২০০ টাকা মত। অর্থাৎ বিক্রেতার কাছ থেকে কৃষকেরা কিনতে পেত ১২০০ টাকায়।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ফসফরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার দাম বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬০-৭০ % যার ফলে বর্তমানে এক ব্যাগ ডিএপি এর দাম প্রায় ২৪০০ টাকা, যার উপর ৫০০ টাকা ভর্তুকি প্রয়োগের পর কৃষক সেই ব্যাগ পায় ১৯০০ টাকায়। এই বর্ধিত ভর্তুকির পর অবশ্য ২৪০০ টাকার এই ব্যাগ পাওয়া যাবে ১২০০ টাকায়। এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবে দেশের কোটি কোটি কৃষক। উলেখ্য কেন্দ্রীয় সরকার সারের ভর্তুকির জন্য প্রত্যেক বছর ব্যয় করে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। এরপর খরিফ মরশুমে এই ভর্তুকির জন্য আবার ব্যয় বাড়বে প্রায় ১৪৭৭৫ কোটি টাকা যার ফলে সারের উপর ভর্তুকির জন্য মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৯৬ হাজার টাকা।
সম্প্রতি অক্ষয় তৃতীয় দিন দেশের কয়েক কোটি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধীর ২০৬৬৭ কোটি টাকা পৌঁছে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর আবার এই ভর্তুকি বাড়ানোতে কৃষক দরদী সরকারের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
বাপ্পাদিত্য ঘোষ