দুই শতাব্দী প্রাচীন এই তামিলনাড়ুর পেরামবালুর রথ উৎসব ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় উস্কানি দিলো জেহাদিরা ।
এই উৎসবের সূচনা কেন্দ্র হচ্ছে তামিলনাড়ুর পেরামবালুরের কারাথুরের ধর্মপুরেশ্বর মন্দির ।
আরাধনার পর ঈশ্বরের নামে রথ বার করা হয় এই মন্দির থেকে ।
কিন্তু এতেই ঘোর আপত্তি স্থানীয় মুসলিমদের । সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৫ % আর তাদের বক্তব্য কোনো ভাবেই এই এলাকায় হিন্দুদের রথ বার করা যাবেনা ।
এই ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত যায় । আদালত রথ বার করার অনুমতি দিলেও শর্ত দেয় যে কোনো প্রকার হিন্দু স্তব পাঠ করা যাবেনা রথের শোভাযাত্রা চলাকালীন এমনকি ঠাকুরের রথও ফুল দিয়ে সাজানোও যাবেনা । হিন্দুরা আদালতের দেওয়া এই অবাস্তব ও অন্যায় প্রস্তাব মেনেও নেয়, কিন্তু তাতেও আপত্তি মুসলিমদের।
তারা রথ উৎসবের আগেরদিন রাতে রথের চাকায় আগুন দিয়ে দেয় ।
ব্যাস , তার পরেই শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ । দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয় ।
প্রসঙ্গত , এই রথ উৎসব নিয়ে তামিলনাড়ুর পেরামবালুরে এই ধরণের সংঘর্ষ শুরু হয় ১৯৫১ সাল থেকেই আর আজ ও সমাধান সূত্র বার করা যায় নি।
পুলিশের অনুমান এই গোটা ঘটনায় উস্কানি দিয়েছে কেরালা (Kerala) তথা তামিলনাড়ু (Tamilnadu) ও গোটা দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জিহাদি সংগঠন পি এফ আই (P F I ও এরই সাথে স্থানীয় এক মৌলবী পালানি বাবা ।