পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর থেকেই দিল্লি (Delhi) -বেজিং (Beijing) সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ত হয়ে উঠেছে। চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে শুক্রবার সকালে আশঙ্কা লাদাখে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লেহ সামরিক ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রীর অবতরণের খবর সকাল ১০টা নাগাদ পাওয়া গিয়েছে, একবারে ‘সারপ্রাইজ ভিসিট’। কিন্তু তিনি যে এ দিন লাদাখ যেতে পারেন, এমন কোনও খবর আগে থেকে ছিল না। তিন বাহিনীর প্রধান চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণেকে সঙ্গে নিয়ে লাদাখ গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই আচমকা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেজ্ঞরা। লেহ থেকে তিনি এলএসি-র দিকে গিয়েছেন বলেও প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। এলএসিতে ভারতীয় বাহিনীর যে সব সীমান্ত চৌকি রয়েছে, সেগুলোর কয়েকটিতে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন এবং সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মূলত সেনার মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর এই লাদাখ সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক হয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লাদাখ আসবেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে শুক্রবার সকালেই লাদাখ চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১১,০০০ ফুট উঁচুতে, সিন্ধু নদের ধারে লাদাখের নিমুতে সেনা, বায়ু সেনা ও আইটিবিপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কারও তরফ থেকেই আগে জানানো হয়নি যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে শুক্রবার লাদাখ যেতে পারেন। শুক্রবার সকালেই ‘সারপ্রাইজ ভিসিট’ সত্যিই চমকে দিল সকলকে।