সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার কথা যেন ভুলেও না ভাবে চিন। তাহলে তার ফল বেশ খারাপ হবে। চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নরমে গরমে এমন কথাই বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন রাজনাথ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব দুতরফেরই। তাই চিন যেন সেটা পালন করে চলে।
এদিন রাজনাথ জানান, আলোচনা চলছে। সেই পথেই বিশ্বাস রাখে ভারত। তবে কারোর উসকানিতে কান না দিলেও, তাকে যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। চিন যদি নিজেদের সেনা অবস্থান মেনে চলে, তবে ভারতও মানবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী ভারত। দেশ আশা করে তাদের প্রতিবেশিও একই পথে হাঁটবে।
শনিবার এক ট্যুইট বার্তায় কড়া ভাষায় নিজের বক্তব্য রাখেন রাজনাথ। চিনকে বুঝিয়ে দেন সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও চিনের বারবার আগ্রাসনের ফল ভালো হবে না। লাদাখে যে যে এলাকা নিয়ে সংঘাত রয়ে গিয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হোক, বার্তা রাজনাথের। মূলত প্যাংগং লেকের দখলদারি নিয়ে চিনা মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
সীমান্তের শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বরাবরই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে ভারত বলে জানিয়ে রাজনাথ বলেন, নিজের ভূখন্ড রক্ষার ক্ষেত্রে কোনও আপোষ মানবে না নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখে জোর সীমান্ত-সংঘাতে জড়িয়েছে চিন। সীমান্তে একের পর এক উসকানিমূলক কাজ চালানোর অভিযোগ আসছে, মীমাংসার বদলে জারি লাল চিনের টালবাহানা। এই পরিস্থিতিতে সাংহাই সম্মেলনের জন্য মস্কোতে যান রাজনাথ সিং। সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি চিন। পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানায় বেজিং।
জানা গিয়েছে, সাংহাই সম্মেলনের জন্য বর্তমানে মস্কোতে আছেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাই চিনের তরফে উই ফেংঘে শুক্রবার রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লাল চিনের সেনাবাহনী ক্রমাগত ভারতীয় ভুখন্ডে প্রবেশের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলাদা করে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাতেই এমন অনুরোধ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়।