ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কয়েকমাস করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে থাকলেও গত কয়েকদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশের সংক্রমণের সংখ্যা। আক্রান্তের নিরিখে আবার নতুন করে রেকর্ড গড়ার পথে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭২ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে চারশোর বেশি মানুষের।আক্রান্তের নিরিখে গত ৬-৭ মাসের মধ্যেই সর্বোচ্চ বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
বিরাট সংখ্যক আক্রান্তের সংখ্যার একটা বড় অংশ মহারাষ্ট্রের হলেও অন্য রাজ্যগুলিও পিছিয়ে নেই। পাল্লা দিয়ে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে লাগাতার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাবেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭২ হাজার ৩৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ২৬ হাজার বেশি। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ২১ হাজার ৬৬৫ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেক বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরকে স্বস্তি দিচ্ছে দেশের করোনাজয়ীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৪৫৯ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেক অনেক কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৫ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৮৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ৬ কোটি ৫১ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৯৬ জন।
এদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৮ জন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। ফলে এদিন রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯১৫ জন।গত ২৪ ঘটনায় চিকিৎসাধীন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪৭২ জন। বাড়তে থাকা চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের। তবে ইতিমধ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৮১১ জন। তাঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ী হয়েছেন ৫০৮ জন। এদিনে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৬ শতাংশ।মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারেও জোর দিচ্ছে সরকার। আজ থেকে গোটা দেশে ৪৫ বছরের উর্ধে সকলের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।