ফ্রান্সে আয়োজিত G-7 বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীরে উত্তেজনা কমানর ইস্যু নিয়ে চর্চা করতে পারেন। আমেরিকার এক কর্মকর্তা মিডিয়ার সামনে এই কথা বলেন। উনি জোর দিয়ে বলেন, জম্মু কাশ্মীর রাজ্য থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে বিশেষ রাজ্যের তকমা শেষ করা ভারতের অভ্যন্তরীণ মামলা, তবে এর আঞ্চলিক প্রভাব রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জম্মু কাশ্মীরে উত্তেজনা কমানর জন্য এবং রাজ্যে মানবাধিকারের সন্মান বাড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি করছেন।
আধিকারিক সুত্র অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প পাকিস্তান দ্বারা ভারতীয় সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাস দমনের জন্য পাকিস্তানকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতায় আমেরিকা থাকবে না।
আমেরিকায় ভারতীয় রাজদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে কয়েক দশক ধরেই আমেরিকা পুরনো নীতি অনুসরণ করে চলছে, আর এর জন্য তাঁরা কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করবেনা। কিন্তু আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক স্তরে কাশ্মীর মামলার সমাধানের জন্য ভারত এবং পাকিস্তানকে উৎসাহিত করবে।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ফক্স নিউজকে জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব নির্ভর করছে ভারত আর পাকিস্তানের সহমতির উপর। যেহেতু ভারত এই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না। সেহেতু কাশ্মীর নিয়ে আর নাক গলাবেনা আমেরিকা। ভারতীয় রাজদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতিরেসও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে স্পষ্ট বয়ান দিয়েছেন। উনি বলেছেন যে, এই ইস্যু ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি আর লাহোর ঘোষণা পত্রের অনুসারে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”