গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সেনা সরানোর উদ্যোগ, ফের বৈঠকে ভারত-চিন

প্যাংগং লেক থেকে সরেছে ভারত ও চিনের সেনা। এবার নজর গোগরা, হট স্প্রিং ও ডেপসাংয়ের দিকে। এই ইস্যু নিয়েই ১১তম সামরিক স্তরের বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। ৯ই এপ্রিল এই বৈঠক হতে পারে। দশম দফা বৈঠক হয়েছিল ২১শে ফেব্রুয়ারি।

লাদাখের পাশাপাশি, দেপসাং ও গোগরা হাইটস থেকেও যাতে সেনা সরানো যায়, সেই প্রস্তাব রাখতে চলেছে ভারত। এই বিষয়ে চিনের সঙ্গে মৌখিক কথা হলেও, আনুষ্ঠানিক ভাবে এবারের বৈঠকে প্রস্তাব রাখা হবে ভারতের পক্ষ থেকে।

পিটিআই জানায় ভারতের তরফ থেকে প্যাংগং ছাড়াও লাদাখের অন্যান্য সীমান্ত এলাকা থেকে চিনা সেনা সরানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। ভারত জানিয়েছে গোগরা, হট স্প্রিং ও ডেপসাং এলাকাও খালি করে দিতে আগের মত। ২০২০ সালের মে মাসের আগের সেনা অবস্থানের চিত্রই ফের চাইছে ভারত বলে সূত্রের খবর।

যদিও আগের বৈঠকে সেই উত্তেজনা ও টানাপোড়েন অনেকটাই কম ছিল বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। প্যাংগং ছাড়া যে সব এলাকায় এখনও চিনা সেনা মজুত রয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে ফের আলোচনা চলবে বলে জানানো হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরা চলা টানাপোড়েন কাটিয়ে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশ। তাই বৈঠক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যেই আলোচনা চলে।

ভারতীয় সেনা চাইছে ডেপসাং এলাকায় স্থিতাবস্থা ফিরুক। ২০১৩ সালের অচলাবস্থার জেরে ওই এলাকায় পেট্রলিং বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ভারতীয় সেনাকে। সেই পরিস্থিতির বদল চাইছে ভারত। স্ট্যান্ড অফ কাটিয়ে ভারত যাতে ওই এলাকায় টহল দিতে পারে, তার প্রস্তাব পিএলএ-র সামনে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে।

গতবারের বৈঠকেও গোগরা, হট স্প্রিং, ডেপসাং থেকে চিনা সেনা সরানোর প্রস্তাব রাখা হয়। তবে তাতে বিশেষ আমল দেয়নি বেজিং। এবার এই ইস্যুর ওপর জোর দেওয়া হবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে। গত এক বছর ধরে ভারত ও চিনের সম্পর্কের শৈত্যের প্রভাব পড়েছে সীমান্তে। মুখোমুখি বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও জড়িয়েছে দুই দেশ। তবে শেষ বৈঠকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি – বেজিং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.