কাশ্মীরে পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য মমতাকেই করলেন দিলীপ-মুকুলরা

কাশ্মীরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করল রাজ্য বিজেপি৷ দলের দুই শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের বক্তব্য, রাজ্য সরকার ঘরের ছেলেদের ঘরে রাখতে পারছে না৷ কাজ খুঁজতে তাদের বাইরে যেতে হচ্ছে৷ তাই এই দায় রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে৷

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে পাঁচজন বাঙালি শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। পাঁচজনই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাহালনগর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত পাঁচ শ্রমিকের নাম কামারুদ্দিন শেখ, মুর্সালিম শেখ, মহম্মদ রফিক, নিজামুদ্দিন শেখ, মহম্মদ রফিকুল শেখ।

এরপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন,’ মঙ্গলবার সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় কাশ্মীরে পাঁচ নিরীহ শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। আমরা সম্পূর্ণ হতবাক। বর্তমানে কাশ্মীরে কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপ হচ্ছে না। গোটা আইনশৃঙ্খলাই কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে। যাতে প্রকৃত সত্য সামনে আসে, তাই এই ঘটনার কড়া তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তাঁদের থেকে সবিস্তার তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা এডিজি দক্ষিণবঙ্গ শ্রী সঞ্জয় সিং-কে নিয়োগ করছি।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলায় দিলীপ ঘোষও পাল্টা খোঁচা দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ”পেটের দায়ে সীমান্তে গিয়েছেন বাংলার পাঁচ শ্রমিক। বাংলার ছেলেরা হাতে প্রাণ নিয়ে কেন সীমান্তে যাচ্ছেন? তাঁদের এখানে কাজ দিন। ঘটনার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমাদের ছেলেদের ঘরছাড়া করেছে রাজ্য সরকার।” তবে একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন আরও বলেন, ”পাকিস্তান থেকে বারবার হামলা হচ্ছে। ভারত এটাই দাবি করে আসছে। সেটাই প্রমাণ হল। দুর্ভাগ্যবশত মুর্শিদাবাদের ছেলেরা মারা গিয়েছে।”

একই কথা বলেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও৷ তিনি বলেন, ‘গোটা ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান নেই বলেই কাশ্মীরে যেতে হয়েছে শ্রমিকদের। সেই পরিস্থিতির বদল আনতেই হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.