“জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার সত্যতা অবিলম্বে সামনে আসা উচিত। পুলিশ কি বলছে জানার দরকার নেই, পুলিশ কি করছে দেখতে চাই ।” এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ । উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জিয়াগঞ্জ ইস্যুতে এমনটাই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, জিয়াগঞ্জের ঘটনায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটছে বিজেপি। যদিও পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। যদিও তা মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষরা। কৈলাশ বিজয়বর্গী দাবি করেছেন, দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিৎ। এবার খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। জানা গিয়েছে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানাবে বিজেপি। ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সময় চেয়েছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদল দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্ন তুলে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা।
অন্যদিকে আজ সোমবার সকালে দিলীপবাবু সল্টলেক থেকে চলে আসেন পানিহাটিতে। সেখানেই তিনি কয়েক হাজার দলীয় কর্মীর সঙ্গে মিলিত হন। আগরপাড়ার উসুমপুর বটতলায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে চা খান দিলীপবাবু। পানিহাটি এলাকায় দলীয় কর্মীদের সমস্যার কথা শোনেন তিনি । এদিন দিলীপ ঘোষ দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দৃষ্টান্ত সকলের সামনে তুলে ধরে পরিবেশ ও এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও এলাকায় গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন দলীয় সমর্থকদের।
তিনি বলেন, “যেভাবে আমরা নিজেকে পরিষ্কার রাখি সেই ভাবেই পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে হবে । প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে, বিশ্ব উষ্ণায়ন রাখতে এলাকায় বেশি করে গাছ লাগাতে হবে । পরিবেশকে সবুজ করে গড়তে হবে । বাড়িতেও টবে সকলের গাছ লাগানো উচিত । জল সংরক্ষণ করতে হবে, পরিবেশ বাঁচাতে সকলকে একসঙ্গে প্রচেষ্টা করতে হবে ।” এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা উত্তর শহর তলির সভাপতি কিশোর কর সহ অন্যান্য স্থানীয় বিজেপির মন্ডল সভাপতি ও কর্মী সমর্থকরা ।