ধুপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়ি এলাকার সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায় সহ আরও পাঁচজন বীরগতিপ্রাপ্ত হন, গত বছরের ২৫ শে মার্চ কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায়। জানা যায়, জগন্নাথ রায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতরভাবে জখম হন। এরপর তার চিকিৎসা চলে। এরপর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তার মৃত্যু হয় ২৯ শে মার্চ। এরপর তার দেহ নিয়ে আসা হয় পশ্চিম শালবাড়িতে। সেই সময় ওই এলাকার নেতা, মন্ত্রী ও সাধারণ মানুষেরা চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে ছিলেন বীর জওয়ানকে।
সেই সময় এই পরিবারের প্রতি ভরসার হাত এগিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নেতা-মন্ত্রীরা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন বীরগতিপ্রাপ্ত জগন্নাথ রায়ের স্ত্রীকে। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা অন্য দেখা গিয়েছে। সময় যত এগিয়েছে, ততই যেন নেতা, মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের যোগাযোগ কমে এসেছে ওই পরিবারের সঙ্গে। তবে বীরগতিপ্রাপ্ত জওয়ানের স্ত্রী’র পেনশন চালু হয়েছে। কিন্তু সামান্য কটা টাকা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ দেবের স্ত্রী তাপসী রায়।
তিনি জানিয়েছেন যে, ইচ্ছে করলেও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি নিতে পারছেন না। কারণ, তার সন্তানের বয়স মাত্র চার বছর। তাকে বাড়িতে একা রেখে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস পেয়ে বারেবারে যোগাযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তিনি কোনও সাহায্য পাননি। ওদিকে, ধুপগুড়ি ও জলপাইগুড়ি প্রশাসনিক থেকেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানা গেছে। তাপসী রায়ের বক্তব্য, তার সঙ্গে যদি আরও একবার দেখা হত মুখ্যমন্ত্রীর তাহলে হয়তো একটা কর্মসংস্থান হয়ে যেত। এদিকে জগন্নাথ রায়ের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তার ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না। বারেবারে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। কিন্তু তা সত্বেও তার বার্ধক্য ভাতা চালু করা হয়নি।
2022-04-13