বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। রং খেলা ইসলামবিরোধী। এই অভিযোগ করে দোলের আগের রাতে ফের ইসকন মন্দিরে হামলা চালাল মুসলিমরা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে এই ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ ভক্ত।
রাধাকান্ত ইসকন মন্দিরে রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হয়। মারধর করা হয় ভক্তদেরও। শেষমেষ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। অভিযোগ ওই মন্দিরের দখল নেওয়ার জন্যই এসেছিল দুষ্কৃতিরা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ভিডিও আপলোডও হয়েছে৷ এবিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা৷
অরবিন্দ রায় নামে বাংলাদেশের এক বাসিন্দা ফেসবুকে দাবি করেছেন, ‘শান্তির দস্যুরা ঢাকার ওয়ারিতে রাধাকান্ত ইসকন মন্দির দখলের জন্য হামলা ও ভাঙচুর চালাচ্ছে।’ পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে ওই ব্যক্তির প্রশ্ন, ‘ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা করে ধর্মীয় উৎসব পালন করা, এটা কি সৃষ্টিকর্তা মেনে নেবেন? ’
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ হঠাৎই মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ৮০ থেকে ৯০ জন মুসলিমদের একটি দল স্লোগান দিতে দিতে এসে ভাঙচুর এবং হামলা চালায়।’ জানা যাচ্ছে ওই সময় মন্দিরে ছিলেন ৩০-৪০ জন ভক্ত এবং পুরোহিতও। মুসলিমরা এসে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। মারধর করে ভক্তদের। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাঁরা।
এই ঘটনার পরই কার্যতই প্রতিবাদ করেন ভক্ত এবং পুরহিতরা। তাঁদের বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদের মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় মুসলিম জনতা। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় হামলাকারীদের। ঘটনার জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সে দেশের হিন্দুরা। বারবার কেন এভাবে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হবে সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন’।