পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সোমবার মেটিয়াব্রুজে আরএসএস কর্মী বীর বাহাদুর সিংহ গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব।
মুকুল রায়ের নেতৃত্বে সব্যসাচী দত্ত, অনুপম হাজরা, রীতেশ তিয়ারী সহ আরও কিছু বিজেপি নেতা গার্ডেনরিচে পৌঁছলে তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি নেতাদের কালো পতাকা দেখানো হয়। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুকুল রায় দাবি করেন, “পুলিশের সাহায্যে বিজেপি নেতাদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। ছোঁড়া হয়েছে ইঁট-পাটকেল। নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন বলেই প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।” একইসঙ্গে তিনি মেটিয়াব্রুজ অভিযানের ডাক দিয়েছেন।
পুলিশের অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয় বিজেপি নেতাদের। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে মুকুল বলেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনের পরিস্থিতি নেই।
পাশাপাশি আজ বিধানসভার গেট বন্ধ রেখে রাজ্যপালকে ঢুকতে না দেওয়ার নিন্দা করেন মুকুল রায়। মুকুল বলেন, স্পিকারকে জানিয়েই রাজ্যপাল বিধানসভায় গিয়েছিলেন। তারপরেও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে যেতে না দেওয়া সংবিধানের লজ্জা, বাংলার সংস্কৃতির লজ্জা।
এর আগে বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও অপমানিত বোধ করেন রাজ্যপাল। ওই ঘটনায় রাজ্যে ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ চলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মুকুল রায়। তবে এদিন রাজ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়েই সোচ্চার হন মুকুল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুকুলের জবাব, “বাংলায় গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসন চাইবে বাংলার জনগণ।” অন্যদিকে আজ দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।