২৪ ফেব্রুয়ারি চাঁদবাগ এলাকায় হিংসার ঘটনায় নিহত হয়েছেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলাল। যেখানে শাহদারার পুলিশ কমিশনার অমিত শর্মা এবং গোকুলপুরীর এসিপি আইপিএস অনুজ কুমার গুরুতর আহত হয়েছেন। অবস্থার উন্নতির পরে অনুজ কুমার তার অসুস্থতার কথা প্রকাশ করেছিলেন। সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অনুজ কুমার বলেন যে রাস্তায় ভিড় ক্রমশ বাড়ছিল ।
উপস্থিত জনতার সংখ্যা ২৫০০ থেকে ৩০০০ এর মধ্যে চলে যায়। এসময় কেউ গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পুলিশি হামলায় কিছু মহিলা ও শিশু মারা গেছে। এর পরে, জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে উপস্থিত ২০০ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এই আক্রমণে রতনলাল ছাড়াও অমিত শর্মা ও অনুজ গুরুতর আহত হন ।
তিনজনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে রতনলালকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অনুজ কুমার বলেন যে হিংসাত্মক জনতা তাঁদের ঘেরাও করার পরেও তিনি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেননি, কারণ ভিড়ের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মহিলা ও শিশু ছিল। হিংসার সময় যখন ওয়াজিরাবাদ রোড বন্ধ ছিল রাখার সময়ও ট্র্যাফিক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল ।
পুলিশ দেখে সেখানে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অনুজ কুমার আরও বলেন যে তিনি প্রথমে উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা তাতে রাজি হন নি এবং ভিড় বাড়তে শুরু করে। এদিকে, কিছু লোক শিশু এবং মহিলা মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে দেয় ।
বিক্ষোভের জায়গার কাছে নির্মাণ কাজ চলছিল। সেই কারণে সেখানে পাথর ও ইট ছিল প্রচুর পরিমাণে । জনতা পুলিশকে আক্রমণ করে। পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু জনতা পিছু হটেনি এবং তাদের আক্রমণ অব্যাহত ছিল। হামলায় পুলিশ কমিশনার অমিত শর্মা, এসিপি অনুজ কুমার, রতনলালসহ মোট ১১ জন পুলিশ আহত হয়েছিলেন ।