ট্রাক্টর মিছিলের আগে পুলিশকে যে কথা দিয়েছিলেন কৃষকরা, সেকথা তাঁরা রাখতে পারেননি। আর তার জেরেই মঙ্গলবার রাজধানীতে ছড়ায় হিংসা। বুধবার এমনই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এক সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব বলেছেন, এই হিংসা থামানোর জন্য নানারকম উপায় ছিল পুলিশ কর্মীদের কাছে। কিন্তু তাঁরা সংযম দেখিয়েছেন। তবে এবার কাউকে ছাড়া হবে না।

কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২ জানুয়ারি জানানো হয় যে, ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ সাধারণতন্ত্র দিবসে তাঁরা ট্রাক্টর মিছিল করবেন। দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছেন এর জন্য কৃষক নেতাদের সঙ্গে তাঁরা ৫ দফায় বৈঠক করেছিলেন। শ্রীবাস্তব বলছেন, “আমরা প্রথমে সাধারণতন্ত্র দিবস মিছিল করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা সেই প্রস্তাব মানেননি এবং এই দিন মিছিল করার জন্য জোর করেছিলেন।”

তিনি জানান দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমেই কৃষকদের কুণ্ডলী মানেসার এক্সপ্রেসওয়েতে মিছিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব মেনে নেননি কৃষকরা।

দিল্লি পুলিশ কমিশনার বলছেন, “কৃষকরা দিল্লির রাজপথে মিছিল করার জন্য জোর করেন। তাই আমরা তিনটি রুটে মিছিল করার কথা বলি। প্রথমটি সিংঘু থেকে ৬৩ কিলোমিটার, দ্বিতীয়টি টিকরি সীমান্ত থেকে ৭৪ কিলোমিটার, এবং তৃতীয়টি গাজিপুর থেকে ৪৪ কিলোমিটার।”

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা দেখিয়ে এদিন শ্রীবাস্তব বলেন যে, “দুপুর ১২টা থেকে মিছিল শুরু করতে বলা হয়েছিল। এবং মিছিলে কোনও রকমের আগ্নেয়াস্ত্র, তরোয়াল, ছুরি রাখতে না করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, ২৫ জানুয়ারি জানতে পারি, এই চুক্তি মোটেই মানছেন না কৃষকরা।”

শ্রীবাস্তব বলছেন, “কৃষকরা সকাল ৭.৩০ মিনিট থেকেই সিংঘু সীমান্ত থেকে মিছিল শুরু করে। ওদের নেতা সান্তাম সিং পান্নু প্ররোচনামূলক কথা বলেন। তার পরেই ব্যারিকেড ভেঙে দেয় কৃষকরা।”

পুলিশ কমিশনারের কথায় প্রত্যেক কৃষক নেতা এই ঘটনার জন্য দায়ী। তিনি বলছেন, “আমরা এটিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কারা হিংসা ছড়াচ্ছে। ফেশিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে সনাক্ত করা হবে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে এবং গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.