কৃষি আইন বাতিল না করলে ঘেরাও চলবেই এই অবস্থানে অনড় থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সারা ভারত কিষান সংগ্রাম সমন্বয় সমিতি ( এআইকেএসসিসি) মঞ্চ। বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের এই যৌথ মঞ্চের সঙ্গে বুধবার ষষ্ঠ দফার বৈঠকে বসছে কেন্দ্র সরকার। এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম কৃষক বিক্ষোভের কেন্দ্র দিল্লি। ফলে বৈঠকের দিকে নজর আন্তর্জাতিক মহলের।
কৃষি আইন বাতিল, ন্যুনতম সহায়ক মূল্য চাই, বিদ্যুতের মাসুল প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। পরিস্থিতির চাপে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলির নেতৃত্বে থাকা সারা ভারত কৃষকসভা ও বিকেইউ সহ সব সংগঠন। সরকারও আইন চালু রাখতে মরিয়া।
এদিকে আন্দোলনের চাপ বেড়েছে। আন্দোলনের প্রতি সহমত জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের বিদেশে থাকা আত্মীয়রা। এমনকি কানাডা সরকার সরাসরি এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। ফলে বিক্ষোভটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক রূপ। বিভিন্ন দেশে কৃষকদের সমর্থনে সরাসরি ভারত সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব বহুজন।
এই অবস্থায় বুধবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রের। সরকার। দুপুর ২ টোর সময় বৈঠক হবে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে সমাধানের পথ নেওয়া হবে। তবে আগে পাঁচ দফা বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে সমস্যা মেটাতে নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের কৃষকরা। বিক্ষোভকারীদের হামলায় পাঞ্জাবে বেসরকারি রিলায়েন্স জিও সংস্থার দেড় হাজারের মতো মোবাইল টাওয়ার ধংস। আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি, সরকার আইন চালু করে কৃষকদের সর্বনাশ ও মোদী ঘনিষ্ঠ রিলায়েন্স সংস্থার সুবিধা করছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইনটি কৃষকদের ভালোর জন্যই।
এই প্রেক্ষিতে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে অনড় দুপক্ষ। আন্দোলনরত কৃষকরা ধরেই নিয়েছেন বৈঠক ব্যর্থ হবে। তাঁরা ঘেরাও চালাতে মরিয়া। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ঘেরাও চালানোর ষোলয়ানা ইচ্ছে নিয়েই গাড়ি গাড়ি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলো, আখ, আপেল, শসা, আটা তেল ময়দা, দুধ আনানোর কাজে নেমেছেন কৃষকরা।