খতম চিনের দাদাগিরি, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ড্রাগনকে টক্কর দিতে এক হল নৌসেনার ঘাতক আর্মিরা

একটা সময় ছিল যখন আটলান্টিক মহাসগরকে (Atlantic Ocean) কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল বিশ্বের বড় বড় বাণিজ্য কেন্দ্র। এখন অবস্থা বদলেছে। বদলেছে ভৌগলিক গুরুত্ব। আটলান্টিক মহাসাগরের সেই বাণিজ্য কেন্দ্র ধীরে ধীরে স্থানান্তর হচ্ছে। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভারত (Indian Ocean) ও প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)। আর সেটা খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে চিন (China)।তাই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের জলপথকে নিজেদের দখলে রাখতে কম চেষ্টা করছে না বেজিং কিন্তু সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিচ্ছে ভারত। ভারত মহসাগরে ভারতকে সরিয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে বদ্ধ পরিকর চিন। কিন্তু অপর দিকে একজোট হয়ে গেছে চিনের বিরোধী শক্তি। ভারগ মহাসাগরে চলছে লা পেরোস নৌসেনা অভ্যাস। এতে অংশ নিয়েছে ভারত, জাপান, আমেরিকা ফ্রান্সের মতো মহাশক্তিধর দেশগুলি।এই সেনা অভ্যাস চিনের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা বলাই যায়। জানা যাচ্ছে, এই সেনা অভ্যাসের প্রধান উদ্দেশ্যই হল ভারত ও প্রশান্স মহাসাগরীয় তীরবর্তী দেশ মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। সর্বোপরি, বেজিং একটা স্পষ্ট বার্তা দেওয়া, যে চিন সাগরে তার আধিপত্য থাকলে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর ক্ষেত্রে চিনের আয়ত্তের বাইরেই থাকবে।এই জলপথে চিনের অপর একটি বাধা হল কোয়াড। এই সংগঠনের সদস্য দেশগুলি হল ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। কোয়াডের প্রধান উদ্দেশ্যই হল ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা থেকে চিনকে দূরে রাখা। এমনিতেই কোয়াড নিয়ে চিনের জেরবার অবস্থা। এরই মধ্যে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ৫ বৃহৎ দেশের নৌসেনা অভ্যাস জিনপিং – এর রাতের ঘুম কেড়ে নেবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞ মহল।লা পেরোস নৌসেনা অভ্যাসে ভারতীয় নৌসেনা, অস্ট্রেলিয়ান নৌসেনা, ফ্রান্সের নৌসেনা, আমেরিকান নৌসেনা এবং জাপানের মেরিটাইম সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্স অংশ নিয়েছে। যুদ্ধ জাহাজ এবং নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছে এই অভ্যাসে। লা পেরোস নৌসেনা অভ্যাস মূলত চিনের উচ্চাকাঙ্খার উপর সমূলে কুঠারাঘাত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.