এক হাতে লেখা ‘রূপা’। অন্য হাতে আঁকা দু’টি ‘লাভ’ চিহ্ন। শরীরের অন্যান্য অংশ মাছে খুবলে নিয়েছে। এমন একটি দেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় বুধবার গঙ্গার বাগবাজার ঘাটে ভেসে উঠল। যা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলেন উত্তর বন্দর থানায়। পুলিস এসে সঙ্গে সঙ্গে নাইলনের বস্তাটি জল থেকে তুলে এনে দেখে, বস্তার মধ্যে এক মহিলার দেহ। তবে মাথার অংশে মাংস নেই, একেবারে খুলি। বয়স ত্রিশের ওই মহিলার পরনে ছিল হলুদ আর সবুজ রঙের শাড়ি। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওই মহিলাকে খুন করে বস্তায় ঢোকানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, মহিলার নাম যে রূপা, তা তাঁর হাতের ট্যাটু দেখে বোঝা গিয়েছে। কিন্তু তাঁর বাকি পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রূপা নামে রাজ্যে কতজন মেয়ে নিখোঁজ, তা খুঁজতে গিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিস। যা তথ্য হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা রাজ্যে প্রায় ৪০ জন ‘রূপা’ নামের মেয়ে নিখোঁজ। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁদের সম্পর্কে মিসিং ডায়েরি রয়েছে। কলকাতাতেও একজন ‘রূপা’ নামের মহিলা নিখোঁজ রয়েছে। কিন্তু তাঁর বাবা-মা পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে জিনসের প্যান্ট পরেছিলেন। পাশাপাশি, তাঁর হাতে কোনও ট্যাটু ছিল না। স্বাভাবিকভাবে ওই মহিলার পরিচয় জানাই এখন পুলিসের বড় চিন্তা। তবে মহিলার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলেই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট হবে। যদিও পুলিস ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, খুন করার পরই তাঁকে নাইলনের বস্তায় ঢুকিয়ে করে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার হাতের ট্যাটুর সূত্র ধরেই তদন্ত প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সাহায্য।
সৌজন্যে : বর্তমান পত্রিকা