প্রায় ৮ বছর ধরে পুরুলিয়ার লাল মাটির গ্রামে সতীর্থদের সঙ্গে সমাজসেবা করছেন আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত। রুক্ষ প্রান্তরে ফলন থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গাঁয়ে কাজ করছেন রাজনীতির উর্দ্ধে থেকে। অবধূতের মত দেশের নানা স্থানের অপরিচিত নায়কদের (আনসাং হিরো) খুঁজে বার করে স্বীকৃতি জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার বিকেলে উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু নয়াদিল্লিতে নিজের বাড়িতে তাঁদের এক সমাবেশে ডেকেছেন।
দিল্লিতে নারায়ণানন্দ অবধূত এই প্রতিবেদককে জানালেন, ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৃণমূল স্তরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হয়ে সমাজসেবার কাজ করছেন। ১৯৭১ থেকে আছেন আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের সঙ্গে।পুরুলিয়ায় তাঁদের কাজকর্ম মূলত জয়পুর ও ঝালদা— এই দুই ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে। তাঁদের ওই কর্মযজ্ঞে আছেন পূর্ণ সময়ের প্রায় ৫০ জন, যাঁদের ৯ জন মহিলা। এ ছাড়াও আছেন আংশিক সময়ের প্রায় ২০ জন-সহ ১০০ জন মহিলা।
যাঁরা কোনওক্রমে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে, তাদের পাশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ প্রভৃতি হরেক উপায়ে নিষ্ঠাভরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের অনেককে বুধবার নয়াদিল্লিতে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্ত্যোদ্বয় যোজনা’-র সমাবেশে ডাকা হয়েছে। লক্ষ্য সমাজের অন্ত্যবাসীদের যাঁরা উদয়ের পথ দেখাচ্ছেন, তাঁদের অনুপ্রেরণাদান। গতকাল ছিল দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস। যেটা জাতীয়তাবাদীদের কাছে ‘সমর্পন দিবস’ হিসাবে পরিগণিত হয়। কেন্দ্রীয় সরকার চায়, প্রচারবিমুখ কর্মযোগীরা নতুন ভারতগঠনে এগিয়ে আসুন। হাত বাড়িয়ে দিন ভবিষ্যতের সোনার ভারত তৈরির কর্মযজ্ঞে।
হিন্দুস্থান সমাচার| অশোক|
2020-02-12