আমেরিকার বিকাশের গতি বেশি নয়, ইউরোপে বিকাশ গতি থেমে গেছে। চীন আমেরিকা ও ইউরোপ নিয়ে চিন্তিত নয়। একমাত্র ভারত দেশকে নিয়ে চীন উদ্বিগ্ন। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চীনকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী, জিনপিংকে বহু জায়গায় টক্কর দিয়ে হারিয়ে দিয়েছে। কূটনীতি, বিদেশনীতি, ব্যাবসা, এশিয়া মহাদেশের ছোটো দ্বীপগুলিকে নিজেদের সমর্থনে আনা ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রে ভারত চীনকে কড়া টক্কর দিয়েছে।
GDP বিকাশের গতিতে ভারত ৫ বছর ধরে চীনকে পিছিয়ে রেখেছে। ডোকালাম ভুটানের ভূভাগ, সেখানে চীনে সৈনিকরা কবজা করতে পৌঁছেছিল। কিন্তু ভারতের সেনা পৌঁছাতেই চীনের সেনা পেছনে সরে যেতে বাধ্য হয়। ওইদিন প্রমাণ হয়ে যায় যে সৈন্য ক্ষেত্রেও মোদী শক্তিশালী এবং চীনের দাপটকে মার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
চীন ভারতের বৃদ্ধি পাওয়া গতিকে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। জিনপিং মোদীর বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাব দেখে ঘাবড়ে গেছে। এই কারণে পাকিস্থানে ফান্ডিং করছে। পাকিস্থান যাতে জিহাদের নামে ভারতে সমস্যা সৃষ্টি করে সেই করছে চীন। ভারতের দৃষ্টি যাতে বিকাশের থেকে সরে গিয়ে শুধুমাত্র পাকিস্তান উপর চলে যায় সেটাই চেষ্টা করছে চীন। ভারতের বিকাশের গতি যাতে ধীরে হয়ে যায় তার জন্য ভরপুর প্রয়াস করছে চীন। ভারত চীনকে যে কম্পিটিশন দিচ্ছে সেটা যাতে না থাকে তার জন্য চীন ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
এই বিষয়টি ভারতের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও কংগ্রেস-বাম পার্টিগুলি বুঝতে না পারলে আমেরিকা মুলকের বুদ্ধিজীবী ড্রেভিড ফ্রলি এটা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন। ড্রেভিড ফ্রলি একজন ভারতপ্রেমী হিন্দুপ্রেমী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। উনি বলেছেন- চীন একটা অতিবাদী দেশ, কিন্তু এবার ভারতের উদয় হচ্ছে। আর চীন এটা বুঝতে পারছে যে যদি ভারতের বিকাশ হয় তবে এশিয়া মহাদেশে তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
ফ্রলি বলেছনে, বিশ্বে একটা মজবুত ভারতের খুবই প্রয়োজন। কারণ একটা মজবুত ভারত একটা অতিবাদী চীনকে আটকাতে সক্ষম। জানিয়ে দি, এশিয়া মহাদেশে চীনের শত্রু অনেক রয়েছে। তাইওয়ান, ভিয়েতনামের মতো দেশকে চীন দাবিয়ে রাখতে চাই। কিন্তু ভারত শক্তিশালী হলে চীন এই দেশগুলিকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।