কোহলিরা খেলছেন না। সৌরভ বিসিসিআইয়ে নতুন খেল দেখাবার জন্য নিজের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। এমন সময়ে ক্রিকেট জগতে খবরের অভাব। খরা কাটিয়ে হট টপিক এখন পাক ক্রিকেটার। এবার তিনি নতুন এক ভিডিও প্রকাশ করলেন যেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা পাক ক্রিকেটারদের তুলোধোনা করলেন জয় শ্রীরাম বলে। সেই তালিকায় নাম না করে তিনি গুগলি দিয়ে ক্লিন বোল্ড করার চেষ্টা করলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ থেকে শুরু করে মহম্মদ আমের প্রত্যেকের।

পাক স্পিনার একটি ভিডিও প্রকাশ আট মিনিটের। সেই ভিডিওটি তিনি শুরু করেছেন জয় শ্রীরাম বলে। কানেরিয়ার এই ভিডিওয় দাবি, তিনি দেশের সঙ্গে বেইমানি করেননি। তিনি এমনও দাবি করেছেন, যাঁরা ফিক্সিং কাণ্ডে সরাসরি জড়িয়েছিল তাঁদের অনেকেই এখন পাকিস্তানের জাতীয় দল ও ক্রিকেট বোর্ডে রয়েছেন।

কানেরিয়া বলেছেন, আমার উপার্জনের কোনও রাস্তা নেই। আমার হাত-পা কেটে দেওয়া হয়েছে। খুব খারাপ অবস্থায় আছি এমনিতেই। এর পর ওরা কী চায়! আমি নিজেকে শেষ করে ফেলি! সাড়ে আট মিনিটের ভিডিয়োতে বহু বিতর্কিত কথা তুলেছেন কানেরিয়া। কারও নাম না করলেও পাকিস্তান ক্রিকেটের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেছেন কানেরিয়া। নাম না করলেও মহম্মদ আমিরকে বিঁধেছেন তিনি।

এর আগে দানিশ কানেরিয়াকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন পাক কিংবদন্তী ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ইনজামাম উল হক থেকে শুরু করে পাক কিংবদন্তী ক্রিকেটার ইউসুফ ইউহানা যিনি পরে ধর্মান্তরিত হয়ে মহম্মদ ইউসুফ হন। প্রসঙ্গত দানিশ এই জয় শ্রী রাম বলেছেন তাঁর অভ্যাসবশত। কারণ তিনি গুজরাতি পরিবারে বড় হয়ে উঠেছেন। তাঁর ভাই অনিল দলপত ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু ক্রিকেটার। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার বেশি দূর এগোয়নি। কানেরিয়ার কেরিয়ার রেকর্ড অনেকটাই বড়। দশ বছর খেলেছেন দেশের হয়ে।

তবে কানেরিয়া বিতর্ক উসকে দেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতার। তিনিই একটি টিভি অনুষ্ঠানে বলেন, হিন্দু বলেই পাকিস্তানের জাতীয় দলে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছিল দানিশ কানেরিয়াকে। হিন্দু বলেই সতীর্থদের অনেকে তাঁর সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খেতে চাইতেন না। আখতারের প্রতিটি দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন কানেরিয়া। আর তার পর থেকেই ডামাডোল শুরু হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.