ফণী সাইক্লোনের তাণ্ডবে মৃত অন্তত পাঁচ জন! সকাল ন’টা নাগাদ পুরীর উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে ফণী। তার পর থেকেই ঝড়ের তাণ্ডবে বেসামাল ওড়িশা ও সংলগ্ন অঞ্চল। নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রাপাড়ার রাজনগর ব্লকে গুপ্তি পঞ্চায়েত এলাকায় বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা মারা যান ঝড়ের মুখে। জানা গিয়েছে, দুর্যোগের সময়ে বাইরে ছিলেন তিনি। তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে গেলেও, শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ জেনেছে, মৃতার নাম উষা বৈদ্য।
পুরীতেও বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে এক জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। তাঁর বাড়ির উপরে একটি গাছ ভেঙে পড়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রতিবেশীরা। আর এক জন মারা গিয়েছেন প্রচণ্ড বৃষ্টিতে অ্যাসবেসটাসের চাল ভেঙে পড়ায়। দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁদের পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।আর একটি ঘটনায় জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের এক তরুণ গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছে সাক্ষীগোপালের হিরণ্যপদ গ্রামে।
নয়াগড়ের দাসপাল্লা এলাকায় আবার সুষমা পারিদা নামের ৩০ বছরের এক তরুণীর গায়ে ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছেন তিনিও।তবে এই পাঁচটি মৃত্যুর খবর প্রাথমিক ভাবে জানা গেলেও, পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী মনে করছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
যদিও ফণীর পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছিল ওড়িশা। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছিল বহু মানুষকে। বিভিন্ন স্তরে জারি হয়েছিল জরুরি সাবধানতা। তা সত্ত্বেও সব ক্ষেত্রে যে দুর্যোগের কুপ্রভাব আটকানো যাবে না, তা আন্দাজ করা যায়। বিশেষ করে বিপর্যয়ের আশঙ্কা যখন এতই বেশি, সেখানে ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মুশকিল।বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর, হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ ও কলকাতায় উপকূলরক্ষা বাহিনীর ৩৪টি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিশাখাপত্তনম ও চেন্নাইয়ে মজুত রয়েছে ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজ।গঞ্জাম, খুরদা, পুরী ও জগৎসিংহপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১.৫ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ আছড়ে পড়ে সকাল থেকে।অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম অঞ্চলেও উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘূর্ণিঝড়ের শুরুতে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির শিকার হয় এই অঞ্চল।