আলাদা করে একটি ট্রাস্ট কমিটি গঠনের কথা অযোধ্যা মামলার রায় দেওয়ার সময়ই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো ট্রাস্ট গঠনের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার লোকসভায় একথা জানিয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, এই ট্রাস্টের নাম দেওয়া হয়েছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র।
সংসদে জিরো আওয়ারের আগে নজিরবিহীনভাবে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দির তৈরির জন্য দেশবাসীকে সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মোদী ঘোষণা করেন, ‘অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে আমরা একটা প্রকল্প তৈরি করেছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।” পাশাপাশি এই ট্রাস্টটি যে স্বশাসিত হবে, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। দেশের সবাইকে এই মন্দির তৈরির জন্য আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন – সবাই একই পরিবারের সদস্য। সবাইকে অযোধ্যায় রাম মন্দির গঠনে সাহায্যের জন্য আবেদন করছি।’
অন্যদিকে মোদী জানান, অযোধ্যার ধান্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের এক মন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্যই নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকেও জায়গাটা বেশ ভাল।’
অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সোহাওয়াল তহসিলের অন্তর্গত ধন্নিপুর গ্রামে এই মসজিদ বানানোর জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ধন্নিপুর অযোধ্যা পুরসভা এলাকার অন্তর্গত।
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর নভেম্বরে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে মন্দির তৈরির জন্য তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বানানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই অযোধ্যার ধান্নিপুরে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এবং রাম মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গঠন করছে মোদী সরকার।