দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। গত ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে উপত্যকায় আরও দায়িত্ব বাড়ে সিআরপিএফ-এর। আরও বেশি সংখ্যক সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয় সেখানে। এই আবহে আজকে এক ইঙ্গিতবহ এক বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে আর সিআরপিএফ-এর প্রয়োজন পড়বে না।’ পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, উত্তর-পূর্বেও সিআরপিএফ-এর প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে শীঘ্রই। এদিন সিআরপিএফ-এর ৮৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শ্রীনগরের মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ।
এদিন শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘সিআরপিএফ যে সংকল্প নিয়ে কাশ্মীর, নকশাল এলাকা এবং উত্তর-পূর্বে কাজ করছে, আমি নিশ্চিত যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে, এই তিনটি অঞ্চলেই আমাদের সিআরপিএফ ব্যবহারের প্রয়োজন নাও হতে পারে এবং তিনটি অঞ্চলে সম্পূর্ণ শান্তি বজায় থাকবে। আমি আত্মবিশ্বাসী। আর যদি এই ঘটনা ঘটে, তাহলে এর পুরো কৃতিত্ব সিআরপিএফ-এর।’
উল্লেখ্য, এই প্রথমবার দিল্লিতে সিআরপিএফ-এর সদর দফতরের বদলে বাইরে কোথাও সিআরপিএফ-এর কুচকাওয়াজ হয়। এদিন অনুষ্ঠানে অমিত শাহ আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ৩৭০ ধারা রদ করার পর সবচেয়ে বড় অর্জন এটা যে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্র ফিরেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন এদিন।