চলতি বছরের মধ্যেই ভারতে তৈরি দ্বিতীয় করোনা টিকা চলে আসবে বাজারে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল-ই-কে ৩০ কোটি নয়া করোনা টিকার বরাত দিয়েছে। তার জন্য অগ্রিম দেওয়া হয়েছে ১,৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, টিকা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সরকারি জৈবপ্রযুক্তি দফতরের তরফে ১০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে উৎপাদনকারী সংস্থাকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনও এই টিকার মানবদেহে পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল)-এর তৃতীয় দফা চলছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা টিকা সম্পর্কিত জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি(এনইজিভিএসি)-র বায়োলজিক্যাল-ই-র তৈরি টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে জানিয়েছে, ‘ফলাফল এখনও সন্তোষজনক’। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিললে ডিসেম্বর মাসে টিকার উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী সংস্থা হায়দরাবাদেরই ‘ভারত বায়োটেক’। কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি পুণের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’ উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডও রয়েছে বাজারে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে রাশিয়া থেকে কোভিড-১৯ টিকা স্পুটনিক-ভি আমদানি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, বায়োলজিক্যাল-ই-র টিকার আগেই ফাইজার এবং মর্ডানার মতো বিদেশি সংস্থার তৈরি টিকা চলে আসতে পারে বাজারে।