আশঙ্কা ছিলই। সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে, অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে রিপোর্টে। আর তার পরেই শিশুদের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি সারল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগে থেকেই হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যার সংখ্যা বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। ১ হাজার ৫৫০টি সিসিইউ (ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট), ৫২৮টি পিআইসিইউ (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ও ২৭০টি এনআইসিইউ (নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) শয্যা তৈরি রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ শিশুরা আক্রান্ত হলে যাতে হাসপাতালে শয্যার অভাব না হয় তার জন্য ২ হাজার ৩৪৮টি শয্যা (সিসিইউ, পিআইসিইউ ও এনআইসিইউ মিলিয়ে) তৈরি রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাড়ানো হচ্ছে এসএনসিইউ (সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট) শয্যার সংখ্যাও। ১৬০টি শয্যা বাড়িয়ে মোট ২ হাজার ৪৭৬টি এসএনসিইউ শয্যা তৈরি রাখা হবে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
শুধু শয্যার সংখ্যা বাড়ানো নয়, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ ও ওষুধ মজুত রাখার দিকেও জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। অজয় জানিয়েছেন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, নার্স ও অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করবেন। সেই নির্দেশিকা সব হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই কমিটির সুপারিশ মেনে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া আশা কর্মী ও গ্রামীণ এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের আলাদা করে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব শুরু হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্যই এই নির্দেশিকা বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।