Covid in India: প্রায় ১ মাস পর দেশের দৈনিক সংক্রমণ নামল ৩ লক্ষের নীচে, তবে মৃত্যু ৪ হাজারের উপরেই

দেশে ফের কমল করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। এক ধাক্কায় ৩ লক্ষের নিচে নামল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে সুস্থতার হার। সংখ্যা টপকেঠে সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি। করোনার এই সংখ্যাচিত্র আশা জাগাচ্ছে দেশবাসীর মনে।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন। রবিবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। রবিবার ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৭০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ৩ লক্ষের নিচে। নিঃসন্দেহে এটি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা অবশ্য বেড়েছে। রবিবার যেখানে ৪ হাজার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে সোমবার হিসেব বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশা জাগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। রবিবারের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকী সুস্থতার হার রবিবার দৈনিক সংক্রমণের থেকেও অনেক বেশি। দৈনিক সংক্রমণের থেকে এদিন সুস্থতার সংখ্যা বেড়েছে ১ লক্ষের কাছাকাছি। রবিবার ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ হয়েছিলেন। সোমবা ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৬৩ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৯৭ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ১১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৬ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৯০ জনের। মোট ১৮ কোটি ২৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৬০ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এদিকে সোমবার থেকে DRDO-র তৈরি প্রথম ব্যাচ ২-ডিজি (2-DG বা 2-deoxy-D-glucose) ওষুধ দেশের হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা শুরু হবে। প্রথমে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ১০ হাজারটি ডোজ পাঠানো হবে। ড্রাগ কন্ট্রোল (DCGI) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে করোনার চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে ৮ মে এই ওষুধকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধ তৈরি করেছে ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স (INMAS)। এটি ডিআরডিওর পরীক্ষাগার। সহযোগিতা করেছে হায়দরাবাদের ড. রেড্ডিস ল্যাবরেটরি (DRL)। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে এই ওষুধ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ভালো ফল দিচ্ছে। অক্সিজেন লেভেলে সমতা রাখতে সাহায্য করছে এই ওষুধ। যে সব রোগীদের উপর 2-DG পরীক্ষা করা হয়েছিল তারা দ্রুত নেগেটিভও হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি উপসর্গ থেকেও মুক্ত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.