করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ডোজ পেতে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর তার পাশাপাশি দেশের পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকরা প্রথম দফার করোনা ভ্য়াকসিন পাবেন। সম্প্রতি এই খবর জানিয়েছেন কেন্দ্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাদানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী লোকসভায় বলেছিলেন তৃতীয় ধাপে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনা ভ্য়াকসিন পাবেন। এবার প্রায় ২৭ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে টিকা। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের পাশাপাশি যাদের শরীরে রোগ রয়েছে তারাও টিকা পাবেন। সব ঠিক থাকলে মার্চ মাস থেকেই শুরু হবে টিকাকরণ পদ্ধতি। প্রসঙ্গত এর আগে দেশের চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুলিশকর্মীরা ও সাফাইকর্মীরা টিকা পেয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁদের টিকা দেওয়ার পরই পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের টিকা দানের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়ে ছিলেন, ৫০ বছরের বেশি বয়েসীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভ্যাকসিন পাবেন সেইসব ব্যক্তিরা, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের নীচে হলেও একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত। প্রায়রিটি গ্রুপ ভাগ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।
নীতি আয়োগের ভি কে পল জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনায় মৃত্যু ঘটনা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। এটি নিঃসন্দেহে সুখবর। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। এদিকে সেরো সার্ভের রিপোর্ট বলছে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো মেট্রো সিটিগুলিতে ইতিমধ্যেই ২৫ শতাংশ মানুষ নিজেদের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। দিল্লি খুব দ্রুত হার্ড ইমিউনিটির দিকে যাচ্ছে। প্রতি দুজনের একজনের দেহে কোভিড অ্যান্টিবডি রয়েছে। তার মানে কোনও না কোনও সময় তারা সংক্রমিত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ১১ হাজার ৬৪৯ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। হাসপাতাল থেকে সুস্থ করে ছাড়া হয়েছে ৯৪৮৯ জনকে। নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট সংক্রমণও বেড়েছে। মোট পরিসংখ্যানের বিচারে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৮৯ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ২১ হাজার ২২০ জন। অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৩৭ জন।