আমরা অনেকেই জানি ১৯৮২ এর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিল্লীর রাজপথের প্যারেডে প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাশ্ত্রী (Lal Bahadur Shastri) প্রথা ভেঙে আর এস এস (RSS) এর মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দেরকেও প্যারেড করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
তৎকালীন চীনের (China) সাথে যুদ্ধে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে সাহায্যের কতৃজ্ঞতাস্বরূপ শাস্ত্রীজি RSS এর স্বয়ংসেবক দের এই বিরল সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন। দেশ অথবা সমাজের ওপর যখনি কোনো সংকট এসেছে RSS এর স্বয়ংসেবকেরা নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
আজ এই করোনা সংকটের সময়েও সারা দেশজুড়ে নিজেদের সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে RSS এর স্বয়ংসেবকেরা। বিখ্যাত চিন্তাবিদ, লেখক শ্রী রতন সারদা আমাদের জানালেন সারাদেশে প্রায় ২৭০০০ স্বয়ংসেবকেরা এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত আছেন। অপ্রত্যক্ষ ভাবে সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের কাছেও তারা পানীয় জল, খাদ্যসামগ্রী স্বাস্থ্যরক্ষার সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং করছেন ধারাবাহিক ভাবে। শহরাঞ্চলের রেলস্টেশনে ঝুপড়িতে বা ফুটপাতের ভবঘুরের কাছে তারা প্রতিদিন রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। পরিযায়ী শ্রমিক দের দেখাশোনা এবং তাদের খাদ্য বাসস্থানের ব্যবস্থা এখন দেশের কিছু রাজ্যের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
https://www.pgurus.com/ratan-sharda-on-how-rss-is-helping-fight-covid-19/
দিল্লীর (Delhi) ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় রাজ্য সরকারের সঠিক পদক্ষেপের অভাবে পরিযায়ী শ্রমিকেরা কী প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে দিল্লী (Delhi) থেকে বিহার উত্তরপ্রদেশ অবধি রাজ্যে হাঁটা পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন। RSS তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই পুরো রাস্তাজুড়ে অসংখ্য অস্থায়ী ক্যাম্প করে তাদের খাদ্যের যোগান, পানীয় জল, নুন্যতম চিকিৎসা পরিষেবা , বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এই সামগ্রিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অর্থায়নের জন্য তারা নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থের অংশ তুলে দিয়েছে সংগঠনের তহবিলে। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়, এটা তার এক সুন্দর উদাহরণ। বিভিন্ন রাজ্য সরকার যখন নিজস্ব সম্পদের সঠিক ব্যবহারটুকুও সঠিকভাবে করে উঠতে না পেরে তথ্য কারচুপির আশ্রয় নিচ্ছে, সেখানে RSS এর মতো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজস্ব সদস্য ও নিজস্ব সামর্থ্য দ্বারা সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।