দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছে। এমনটাই জানালেন দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান চিকিৎসক এন কে অরোরা। সরকারি তথ্য বলছে, দেশের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের ৭৫ শতাংশই মুম্বই, দিল্লি, কলকাতার মতো মেট্রো শহরগুলি থেকে ধরা পড়েছে।
গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯২। ইতিমধ্যেই ৭৬৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কোভিডের এই নতুন রূপে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৫৬৮ জন। তার পরই রয়েছে দিল্লি (৩৮২), কেরল (১৮৫), রাজস্থান (১৭৪), গুজরাত (১৫২) এবং তামিলনাড়ু (১২১)। পঞ্চাশের উপরে ওমিক্রন আক্রান্ত তেলঙ্গানা, কর্নাটক এবং হরিয়ানা। তার পরই রয়েছে ওড়িশা (৩৭) এবং পশ্চিমবঙ্গ (২০)।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের। সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট ৩.২৪ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৩০। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৭ জন।
কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান এন কে অরোরা বলেন, “কোভিডের নতুন রূপ যখন দেশে ধরা পড়ল তখন জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে জানা গেল ১২ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। এর পর আরও এক সপ্তাহের মধ্যে সেই সংক্রমণের হার ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে। সুতরাং এর থেকে বোঝা যাচ্ছে কত দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে গোটা দেশে। আর এর থেকেই পরিষ্কার যে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছে। এবং এই তৃতীয় ঢেউয়ের পুরোটা জুড়েই থাকবে ওমিক্রন।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্তদের বিষয়ে। সোমবার মুম্বইয়ে যত নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ উপসর্গহীন। সরকারি তথ্য বলছে, মুম্বইয়ে সোমবার ১২ হাজার ১৬০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৮ হাজার ৮৬ জনই উপসর্গহীন।