ওমিক্রন ইতিমধ্য়েই থাবা বসিয়ে দিয়েছে ভারতে। কর্নাটকে দুজনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রনের হদিশ। অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, বর্তমানের করোনা টিকাগুলি ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকর নাও হতে পারে। আর এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর। ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে বাকি টিকাগুলির তুলনায় বেশি কার্যকর হতে পারে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। এমনটাই জানিয়েছেন আইসিএমআরের এক আধিকারিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বাজারে চলতি অন্যান্য করোনা টিকাগুলির তুলনা অনেকটা বেশি কার্যকর হতে পারে কোভ্যাক্সিনের ডোজ়। তাঁর কথায়, কোভ্যাক্সিন হল একটি ভিরিওন-ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন যা পুরো ভাইরাসকে কভার করে এবং করোনার পরিবর্তিত নতুন রূপের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও যথেষ্ট ভাল কাজ করতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টার মতো অন্যান্য করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও লড়াইয়েও কোভ্যাক্সিন যথেষ্ট কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। আইসিএমআরের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা আশা করতে পারি যে এটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে।” তবে, আরও নমুনা পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হওয়াই ভাল বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি এটি (করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে) সুরক্ষা দেবে। আমরা একবার নমুনা পেলে, আমরা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (NIV) ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করব।”
এদিকে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়ার পর থেকে টিকাকরণে আরও বেশি জোর দিতে বলছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ওমিক্রনের হানা থেকে বাঁচতে পথ একটাই… “টিকাকরণ, টিকাকরণ এবং টিকাকরণ।” আজ কেন্দ্রের তরফে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ওমিক্রনের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে, তার থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভারত সহ বিশ্বের আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে ওমিক্রন।” করোনার নতুন স্ট্রেনে আগামী কয়েক দিনে বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের সংক্রমণের ধাক্কা সামাল দিতে বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োগ নিয়ে আরও বেশি করে চিন্তা ভাবনা চলছে। কেন্দ্রের তৈরি করোনা ভাইরাসের জিনোমিক পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষক দল ইতিমধ্যেই ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের ওমিক্রনের ঝুঁকি এড়াতে বুস্টার ডোজ়ের পরামর্শ দিয়েছে।