করোনার যে টিকা নিয়ে ১৩০ কোটি ভারতবাসী আশায় বুক বাঁধছে সেই কোভ্যাক্সিন নাকি কার্যকরী হবে মাত্র ৬০ শতাংশ। না, কোনও সমীক্ষা বা চিকিৎসক একথা বলছেন না। একথা বলছেন খোদ কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকেরই কর্তা সাই ডি প্রসাদ (Sai D Prasad)। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চান তাঁরা। আর সংস্থার আশা, করোনা রুখতে অন্তত ৬০ শতাংশ কার্যকর হবে এই টিকা। তবে, সেটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে সংস্থা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে টিকাটি বাজারে আনা যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে লড়াই। কিন্তু সেই লড়াইয়ে সাফল্য আসবে কি? ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই ডি প্রসাদ বলছেন,”বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হোক, মার্কিন এফডিএ হোক কিংবা ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা, সবাই যে কোনও ভ্যাকসিন ৫০ শতাংশ সাফল্য অর্জন করলেই সেই ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেয়। আমাদের আশা, কোভ্যাক্সিন অন্তত ৬০ শতাংশ কার্যকর হবে। আরও বেশিও হতে পারে।” সাই ডি প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের কম হওয়ার সম্ভাবনা নগণ্য। অন্তত এখনও পর্যন্ত ট্রায়ালের রিপোর্ট সেকথাই বলছে।
এদিকে মার্কিন সংস্থা মোডার্নাও করোনার টিকা আনার তোড়জোড় শুরু করেছে। ফাইজারের থেকে কোনওভাবেই পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় তারা। শোনা যাচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যেই মোডার্না (Moderna INC) নিজেদের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চায়। টিকার সম্ভাব্য দাম কত হতে পারে শনিবার সেটাও ঘোষণা করে দিয়েছে সংস্থাটি। মোডার্নার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি করোনা টিকার দুটি ডোজের দাম হতে পারে ২৫ থেকে ৩৭ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১৮০০ থেকে ২৭০০ টাকার মধ্যে। যদিও, ভারত সরকার এই ভ্যাকসিন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।